রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেছেন মা-বোনদের ওপর এই অত্যাচার ১৯৭১ সনের পাক বাহিনীর নির্যাতনকেও হার মানায়। গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় উপজেলা আ.লীগের কার্যালয় ২৪ মার্চ কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী সময় দোয়াত কলম প্রতীকের সমর্থকদের উপর পরাজিত প্রার্থী মুজিবুর রহমান হাওলাদারের কর্মী বাহিনীর বর্ব্বর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। দোয়াত কলম প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা পরিষদ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি সংহিষতা তুলে ধরে বলেন, গত ২৪ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের মাধ্যমে সাধারণ ভোটারগণ তাদের মতামত দিয়ে আমাকে দোয়াত কলম প্রতীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয় করেন। এরপর পরাজিত প্রার্থী মুজিবুর রহমান হাওলাদার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এবং ঠান্ডা মাথায় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকাকে অশান্ত অস্থিতিশীল ও কলুষিত করার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করে। এই ষড়যন্ত্রে ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় এলাকায় মিটিং করে পরের দিন সকালে তার সস্ত্রাসী বাহিনী একটি মিছিল বের করে পিঞ্জুরী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ শিকদারের অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখকে অবরুদ্ধ ও লাঞ্ছিত করে জীবন নাশের হুমকী দেয় তার সন্ত্রাস বাহিনী, বান্ধাবাড়ী ইউনিয়নের দোয়াত কলম প্রতীকের সমর্থক রাবেয়া বেগমকে তার বাড়ি থেকে ধরে এনে ব্যাপকভাবে শারীরিক নির্যাতন করে, আমতলী ইউনিয়নের উনশিয়া গ্রামের বিল্পব শেখকে বেধরক প্রহর করে ও তার স্ত্রীর উপর নির্মমভাবে হামলা চালিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়, কাইয়ুম হাওলাদার ও তার ৩০/৩৫ সদস্যের একটি সন্ত্রাসী দল এবং বান্ধাবাড়ী ইউনিয়নের হাসুয়া গ্রামের দোয়াত কলমের সমর্থক শাকির কাজীর উপর হামলা চালিয়ে মাথা ফাটিয়ে হাত ভেঙে দেয় তারা, আহতরা বর্তমানে কোটালীপাড়াসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ সময় কোটালীপাড়ার মেয়র কামাল হোসেন শেখ, উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি নাদের আলী মিয়া, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়া, কৃষ্ণ প্রসাদ মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, সহ-দপ্তর সম্পাদক রুহুল আমিন খান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কবিরুল ইসলাম রুনি, সিরাজ সরদার, প্রভাষক আলাউদ্দিন হাওলাদার, হামলার স্বীকার শাকির কাজী, রাবেয়া বেগম, বিল্পব শেখের স্ত্রীসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও বিভিন্ন গনমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তরা এই সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।