বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস।দিবসটি পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাগুরা ১ আসনের সংসদ সদস্য এড, সাইফুজ্জামান শিখর এ কথা বলেন। মাগুরা জেলা প্রশাসক ড, আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে স্থানীয় নোমানী ময়দানে উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পংকজ কুন্ডু, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলু,জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ, পৌর মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুল, প্রমুখ। প্রধান অতিথি বলেন, ষড়যন্ত্র করে দেশকে পাকিস্থান আফগানিস্থান বানানোর চেষ্টা কোনদিন বাস্তবায়ন হবেনা। দেশের জনগন শেখ হাসিনার নেত্রীত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে বদ্ধপরিকর। তিনি ষড়যন্ত্রকারিদের হুশিয়ার করে বলেন, দেশে থেকে অন্যদেশের এজেন্ডা পরিহার করতে হবে।
১৯৭১ সালের এইদিনে মুক্তিবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে মাগুরা হানাদার মুক্ত হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মাগুরার রণাঙ্গনকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। উত্তরে ছিল আকবর হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে শ্রীপুর বাহিনী। এ বাহিনীর শিবির ছিল শ্রীপুর থানার শ্রীকোল ইউনিয়নের খামারপাড়া এলাকায়।
মাগুরার দক্ষিণ-পূর্বভাগে জেলার মুহম্মদপুর অঞ্চলে বীর প্রতীক গোলাম ইয়াকুবের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী বাহিনী গড়ে ওঠে। মাগুরা সদর উপজেলার হাজীপুর এলাকায় গঠিত হয় আরও একটি বাহিনী যার প্রধান ছিলেন কাজী আবু ইউসুফ।
এছাড়া গেরিলা কমান্ডার লিয়াকত হোসেন, সাবেক এমপি আ.রশিদ বিশ্বাস, নজরুল ইসলাম প্রমুখও ভূমিকা রাখেন মুক্তিযুদ্ধে।
১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা মাগুরা ছেড়ে ফরিদপুরের কামারখালী অভিমুখে চলে যায়। ওই দিন সন্ধ্যায় আকবর হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে শ্রীপুর বাহিনী মাগুরায় প্রবেশ করে। ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ শত্রুমুক্ত হয় মাগুরা। দিবসটি পালন উপলক্ষে মাগুরা জেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।