পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ শনিবার থেকে ৫ এপ্রিল শুক্রবার পর্যন্ত সারাদেশে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০১৯ শুরু হচ্ছে। এ বছর নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে দূষণ, দখলমুক্ত করি, নৌ যাত্রা নিরাপদ করি, বিশ্বমানের নৌ ব্যবস্থার স্বপ্নকে সফল করি। নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান ইনকিলাবকে বলেন, সপ্তাহ উপলক্ষে আজ শনিবার ) সকাল ৯টায় ঢাকার সদরঘাট টার্মিনালে সুন্দরবন-১০ লঞ্চে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও নৌ র্যালির আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথি এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম) ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৩ এপ্রিল সিরডাপ মিলনায়তনে আলোচনা সভা হবে। জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এতে প্রধান অতিথি এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
মো, আবদুল হামিদ নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষে বাণী বলেছেন, অভ্যন্তরীণ নদীপথে যাত্রী নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখার প্রচেষ্টায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৩০ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০১৯’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে নৌ পরিবহনের গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ- উপলক্ষে তার বাণী বলেছেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীপথে চলাচলরত যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে ৩০ মার্চ হতে ৫ এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বর্তমান সরকার মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা বিধানে অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শত শত নদ-নদী, বঙ্গোপসাগরের অবাধ জলরাশি এ দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাÐে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। দেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের সিংহভাগই পরিবাহিত হয় নদীপথে। সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব, অধিকতর নিরাপদ ও আরামদায়ক হওয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রী নৌপথে ভ্রমণ করে থাকে। নদীপথে ভ্রমণকারী যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা বিধানে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী। যাত্রী নিরাপত্তা বিধানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বর্তমান সরকার নৌপথের উন্নয়নে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করার পাশাপাশি নদী দূষণ রোধে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন ও নদীর দু’পাড় অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তাছাড়া নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নদী ও খাল খননের উদ্যোগ গ্রহণ করে নৌপথের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাসমূহকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য উদাত্ত অনুরোধ করছি। নদী পথে চলাচলকারী নৌযান মালিক, নৌযান চালকগণকে নৌ চলাচল বিধি-বিধান মেনে চলার আহŸান জানাচ্ছি। যাত্রী সাধারণকেও সাবধানতা অবলম্বন করে নৌপথ ব্যবহারে অনুরোধ জানাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।