নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জন্মেছিলেন ফ্রান্সে। ফরাসী দলে ডাকও পেয়েছিলেন। কিন্তু বেছে নেন বাবার দেশ আর্জেন্টিনাকে। প্রথম ম্যাচেই পেরুর বিপক্ষে হারের মুখে থাকা দলকে বাঁচিয়েছেন দারুণ এক গোল করে। সেই থেকে পথচলা। কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপের পর আর জাতীয় দলে ডাক পাননি গঞ্জালো হিগুয়াইন। তাই আর্জেন্টিনা জাতীয় দল থেকে অবসরের সিদ্ধান্তই নিয়েছেন ৩১ বছর বয়সী এ তারকা।
পরিবারকে আরও বেশি সময় দিতেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হিগুয়াইন। আগের দিন ফক্স স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘অনেক চিন্তা ভাবনার পর দেখলাম আমার সময় আসলে শেষ। আমি পরিবারকে সময় দিতে চাই, জীবন উপভোগ করতে চাই। এই সিদ্ধান্তে হয়ত অনেকেই খুশি হবে, আবার সবার একরকম নাও লাগতে পারে, তবে আমার সময়টা আসলে ফুরিয়ে এসেছে। আমি দলে আছি কি নেই, সেটা নিয়ে এখন আর আপনাদের চিন্তা না করলেও চলবে।’
দিয়াগো ম্যারাডোনার অধীনে ২০০৯ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয় হিগুয়াইনের। তখন থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মোট ৭৫টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। খেলেছেন ৩টি বিশ্বকাপ ও ৩টি কোপা আমেরিকা কাপ। ২০১০, ২০১৪ এবং ২০১৮ বিশ্বকাপে একটি হ্যাটট্রিক সহ গোল করেছেন ৫টি। জাতীয় দলের হয়ে ৭৫টি ম্যাচ খেলে আর্জেন্টিনার ইতিহাসের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ ৩১টি গোল তার। তবে যতটা নন্দিত এ তারকা তার চেয়েও বেশি নিন্দিত। কারণ ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ এবং ২০১৫ ও ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালে সহজ গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে দলের শিরোপাই হাতছাড়া করেছেন তিনি।
আর্জেন্টিনা দলে নিজের পারফরম্যান্সের জন্য বার বার সমালোচনার মুখে পড়া হিগুয়াইন দেশের জন্য সর্বোচ্চটাই দিয়েছেন বলেও ফক্স নিউজের কাছে দাবি করেন, ‘আমি যে গোলগুলি করতে ব্যর্থ হয়েছি মানুষ সেগুলো মনে রেখেছে। কিন্তু যে গোলগুলি আমি করেছি তা মনে রাখেনি। আমি নিশ্চিত যে ২০১৪ সালে বিশ্বকাপের শেষ আটে বেলজিয়ামের বিপক্ষে আমার করা জয়সূচক গোলটি সবাই উদযাপন করেছে। যখন আপনি কারো কঠোর সমালোচনা করেন, এটা সবাইকেই আহত করে। আমার পরিবার কতটা ভুগেছে তা আমি দেখেছি। কিন্তু আমি জাতীয় দলের জন্য আমার সবই দিয়েছি।’
এ বছরের জানুয়ারিতে ধারে জুভেন্টাস থেকে চেলসিতে যোগ দেওয়া হিগুয়াইন ইংলিশ ক্লাবটির হয়ে এ পর্যন্ত ১০ ম্যাচে ৩ গোল করেছেন। সামনের দিনগুলোকে ক্লাবের প্রতি আরো বেশি মনোযোগী হবার প্রত্যয়ও জানিয়ে রাখলেন, ‘চলসির প্রতি আমার দায়িত্বে আমি এখন পুরো মনোযোগ রাখছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।