বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, গত ১৪ বছরে রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) কী করেছে? তিনি বলেন, ভবনটি ১৮ তলা হওয়ার কথা। অথচ হয়েছে ২৩ তলা। সেটাও ১৪ বছর ধরে বহাল তবিয়তে টিকে আছে। তাহলে রাজউক এতদিন কী করেছে? গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে বনানীর এফআর টাওয়ারের কাছে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে অপরাধের ধরন অনুযায়ী মামলা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
এফআর টাওয়ার ভবনের মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, প্রাথমিকভাবে ভবনের ব্যাপারগুলো দেখার কথা রাজউকের। সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ভবনটি ১৮ তলা থেকে ২৩ তলা হয়েছে। ১৯৯৬ সালের পরিকল্পনায় ১৮ তলা হয়েছে। ২০০৫ সালে রাজউক জানতে পারে ভবনটি ২৩ তলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ বছর পেরিয়ে গেছে। এ সময় রাজউক কী করেছে? তবে অগ্নিকাণ্ড ও নিহতের ঘটনায় মামলা হবে বলে তিনি জানান।
আইজিপি বলেন, এই ঘটনায় মামলা হবে। যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা বাদী হলে ভাল হয়। তাঁরা রাজি না হলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। ভবন মালিকের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ ভবন মালিককে শনাক্ত করতে পেরেছে। এখনও কারো সাথে যোগাযোগ হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হবে।
এদিকে, বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে অপরাধের ধরন অনুযায়ী মামলা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত এফআর টাওয়ার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। কমিশনার বলেন, ভবনের মালিককে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। এ ঘটনায় আরও লোকের দায়িত্বে অবহেলা থাকতে পারে। বেশ কয়েকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনের যথাযথ ধারায় মামলা করা হবে। কমিশনার বলেন, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ১৯টি লাশ উদ্ধারের কথা জানতে পারি। পরে ভবন সার্চ করে আরও ৬টি লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এখন নিহতের মোট সংখ্যা ২৫ জন।
ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিকের মতো এফআর টাওয়ারের মালিকের বিরুদ্ধে ও গ্রেফতারে অবহেলার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিক পালিয়ে ছিলেন। পরে আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। আদালতের জামিনের বিষয় আমরা কোনও মন্তব্য করতে চাই না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।