পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণে রাজউকের নজরদারির দুর্বলতার অভিযোগ দীর্ঘদিনের, এক্ষেত্রে দুর্নীতি ও পেশিশক্তির মতো ঘটনা ঘটছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রাজউককে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করতে হবে।পরিকল্পনা ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ শাখায় উপযুক্তসংখ্যক পেশাজীবী নিয়োগ দেওয়া দরকার। আমলাতান্ত্রিক রাজউক বোর্ড পুনর্গঠন করে পেশাজীবীদের সম্পৃক্ত করা দাবি।
গতকাল বুধবার বুয়েট গ্র্যাজুয়েটস ক্লাবে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) আয়োজিত এক সংলাপে এসব কথা বলেন বক্তারা। বাসযোগ্য ঢাকা মহানগরী গড়তে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা’ শীর্ষক এ সংলাপ অনুাষ্ঠত হয়।
ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করতে হলে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) সঠিকভাবে অনুসরণ করা প্রয়োজন। ড্যাপে ভূমি ব্যবস্থাপনা, নিয়ন্ত্রিত মিশ্র ব্যবহার, জনঘনত্ব পরিকল্পনা, পরিকল্পনা অনুমোদন, শিল্প দূষণ ব্যবস্থাপনা-এসব কার্যক্রম রাজউকের বিদ্যমান কাঠামোকে ঢেলে সাজানো ছাড়া পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
সংলাপের মূল প্রবন্ধে আইপিডির পক্ষ থেকে ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক পরিকল্পনাবিদ ড.আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা দলিলটি একটি মাল্টি সেকটরাল প্ল্যান। ফলে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সফলতা নির্ভর করবে- সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থা কতটুকু আন্তরিকতার সঙ্গে প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়নে কাজ করবে। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার তথা সিটি করপোরশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে যথাযথ ভূমিকা পালন এখানে গুরুত্বপূর্ণ। আবার রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা অনুমোদন ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ শাখাকে যথাযথভাবে শক্তিশালী না করা হলে ভূমি ব্যবহার তদারকি, মিশ্র ব্যবহার ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা অনুমোদন, কৃষিভূমি ও বন্যাপ্রবাহ এলাকা সংরক্ষণ প্রভৃতি অনুষঙ্গগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।
ড্যাপ প্রকল্প পরিচালক পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ড্যাপে প্রস্তাবনার সঠিক বাস্তবায়ন করা হলে এই শহরে নিম্ন আয়ের লোকদের জন্য লাখো আবাসিক ইউনিট তৈরি সম্ভব হবে।
আবার নগর পরিকল্পনা একটি পরিবর্তনশীল প্রক্রিয়া হওয়াতে সামনের দিনগুলোতে ড্যাপ বাস্তবায়নে পর্যায়ে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনাকে নির্দিষ্ট সময় পরপর পুনর্মূল্যায়ন করে এই পরিকল্পনাকে আরও সমৃদ্ধ করা হবে।
বক্তারা বলেন, ঢাকার মতো অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং একটি শহরকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে রাজউককে তার পরিকল্পনা সঠিক বাস্তবায়নে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অনুসরণ করতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে কার্যকর সমন্বয় ও আস্থার পরিবেশ তৈরি করতে পারলে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার বাস্তবায়ন সম্ভব। ঢাকা শহরের বিদ্যমান নগর বাস্তবতায় বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার প্রস্তাবনা বাসযোগ্য শহর গড়তে সহায়ক হবে। যদিও এই প্রস্তাবনাসমূহের বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
বক্তারা বলেন, ব্লক ডেভেলপমেন্ট, কমিউনিটিভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা ও সেবার বিকেন্দ্রীকরণ, মেট্রো স্টেশনভিত্তিক ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট (টিওডি), জনঘনত্ব পরিকল্পনা, ট্রান্সফার অব ডেভেলপমেন্ট রাইট (টিডিআর), ওয়ার্ডভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা এবং মানসম্পন্ন সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিনোদনকেন্দ্র সৃষ্টি ইত্যাদি বিষয়ের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন শহরের মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।