Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মার্কিন বিমান বাহিনীর মুসলিম নারী ক্যাপ্টেনের সাফল্য

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০১৯, ৮:০১ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর বিচার বিভাগ কোরের মুসলিম নারী বিচারক ক্যাপ্টেন মাইসা ওউজা তার কর্মক্ষেত্রের সর্বত্র হিজাব পরিধান করেন। বার্তা সংস্থা এনবিসি তাদের এক অনুষ্ঠানে ক্যাপ্টেন মাইসা ওউজার হিজাব নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে।

ক্যাপ্টেন মাইসা ওউজা যুক্তরাষ্ট্রের স্কট এয়ার ফোর্স বেসে কর্মরত আছেন। তিনি লেবানন বংশোদ্ভূত মিশিগান শহরের অভিবাসী পিতামাতার সন্তান। স্নাতক শেষ করার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীতে যোগ দান করেন। তবে বিমান বাহিনীতে নিযুক্ত হওয়ার পর তাকে জানানো হয়েছিল যে, তিনি তার প্রশিক্ষণ শেষে নিজের ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী পোশাক পরতে চাইলে আবেদন করতে পারেন তবে তাকে এমন অনুমতি দেয়া হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

এর আগে সেনাবাহিনী একজন শিখ প্রশিক্ষণার্থীকে ঠিক একই কথা বলেছিল। পরে তারা এ বিষয়টি নিয়ে আদালতে দ্বারস্থ হন। সেখানে আদালতের পক্ষ থেকে একটি ঐতিহাসিক রায় দেয়া হয়। আদালতের রায়ে বলা হয়, সেনাবাহিনী কোনো ভাবেই নিযুক্ত কর্মকর্তাদের ধর্মীয় পোশাক সরবরাহ করতে অস্বীকার করতে পারবে না। এর ফলে বিমান বাহিনী তাদের সিদ্ধান্তের মধ্যে পরিবর্তন আনে এবং তারা মাইসা ওউজা এবং বিমান বাহিনীর বিচার বিভাগ কোরের অন্যান্য সদস্যদের ধর্মীয় পোশাক সরবরাহ করে।

এনবিসির তথ্যচিত্রটিতে বিমান বাহিনীর মুসলিম ক্যাপ্টেন রাফায়েল ডি লান্টিগুয়া সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করা হয়। ডি লান্টিগুয়া নিজেকে এবং মাইসা ওউজা কে এ বিষয়ে সেতুবন্ধন স্থাপনকারী রূপে উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘লোকজন তাদের নিজস্ব চিন্তা ভাবনা দ্বারা তাড়িত হয়ে সব কাজ করবে এটি কোনো বাস্তব বাদী উদাহরণ নয়। আপনাকে অবশ্যই অন্যান্যদের জন্য দ্বার উন্মুক্ত করে দিতে হবে যাতে করে আমরা কারা তার সম্পর্কে আপনারা অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন।’

মাইসা ওউজা এনবিসির তথ্যচিত্রে বলেন, ‘অফিসারদের প্রশিক্ষণের সময় আমার সহকর্মীদের জীবনে প্রথম বারের মত সাক্ষাত পাওয়া একমাত্র মুসলিম ছিলাম আমি।’ তিনি বলেন, ‘তার অনেক সহকর্মী তাকে ইসলাম, মুসলিম এবং তার হিজাব পরিধান নিয়ে তাকে ধিক্কার জানিয়েছিলেন।’ যখন মাইসা ওউজা ‘এয়ারম্যান অব দ্য উইক’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন তখন তার সহ প্রশিক্ষণার্থী বৃন্দ এবং তার প্রশিক্ষক তাকে ‘একজন সত্যিকারে নেতৃত্ব যিনি যেকোনো চাপের মুখে বিমান বাহিনীকে সেবা দেয়ার সামর্থ্য রাখেন’ বলে অভিহিত করছেন।

তিনি বলেন, ‘ইসলামের শিক্ষা এবং বিমান বাহিনীর মধ্যে অনেক বিষয়ে মিল রয়েছে যা লোকজন চিন্তাও করতে পারেনা। নিয়মানুবর্তিতা, শালীনতা, ন্যায়বিচার, নির্ভীকতা ইত্যাদি বিমান বাহিনীর মূলমন্ত্র। সুতরাং সেদিক থেকে হিজাব এবং ইউনিফর্ম একই বিষয়ের প্রতিফলন করে।’ সূত্র: এয়ারফোর্স টাইমস।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ