মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বঙ্গোপসাগরের উপরে গোপন নজরদারি চালাল মার্কিন গোয়েন্দা বিমান ‘কোবরা বল’। বৃহষ্পতিবার
ভারত মহাসাগরের বুকে দিয়েগো গার্সিয়ার ঘাঁটি থেকে এই বিমান টহল দিতে এসেছিল। এর লম্বা নাকে বসানো আছে রেডার আর নানা রকম উচ্চ ক্ষমতার সেন্সর। ক্ষেপণাস্ত্র উড়লেই ধরা পড়ে সেখানে। ক্ষেপণাস্ত্রের গতিপথ, গতিবেগ-সহ নানা তথ্য চলে আসে তার যন্ত্রে। সেই তথ্য সরাসরি চলে যায় মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং প্রতিরক্ষা সচিবের কাছে। ক্যালিফর্নিয়ার সামরিক বিমানের গতিবিধি পর্যবেক্ষণকারি এক সংস্থা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পুরো নাম ‘কোবরা বল আরসি-১৩৫এস’। মার্কিন বিমানবাহিনীর গুপ্তচর বিমান। বয়স বছর ৫৫। এ রকম মাত্র গোটাতিনেক বিমানই এখনও ব্যবহার করে মার্কিন বিমানবাহিনী।
পর্যবেক্ষণ সংস্থার দাবি, ভারতের উপগ্রহ-বিধ্বংসী (এ-স্যাট) ক্ষেপণাস্ত্রের কার্যকারিতা পরখ করতেই এসেছিল বিমানটি। ক্ষেপণাস্ত্রের নিশানা হিসেবে ব্যবহার করা বাতিল কৃত্রিম উপগ্রহের টুকরো কতটা এলাকা জুড়ে ছড়িয়েছে, অন্য কী কী প্রভাব পড়েছে, কোনও বৈদ্যুতিন তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায় কি না— সে সবই দেখতে এসেছিল বিমানটি। ভারতের এই পরীক্ষা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এখনও চুপ। মার্কিন বায়ুসেনাও কিছু বলেনি। কারও কারও দাবি, কোবরা বলের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করছে মার্কিন প্রশাসন। সেই ফলাফল দেখেই মন্তব্য করবে তারা।
কোনও কোনও সূত্রের বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদীর নাটকীয় বক্তৃতার বেশ কয়েক ঘণ্টা পরেই এসেছিল মার্কিন গুপ্তচর বিমান। বহুক্ষণ সেটি চক্কর কাটে বঙ্গোপসাগর এলাকায়। সঙ্গে আসা তেলবাহী ট্যাঙ্কার থেকে মাঝ-আকাশে তেলও ভরে এক বার। দিয়েগো গার্সিয়ার মার্কিন ঘাঁটিতে এই বিমান রাখার মূল উদ্দেশ্য অবশ্য উত্তর কোরিয়া এবং ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উপরে নজরদারি।
আমেরিকা কোনও মন্তব্য না করলেও মার্কিন বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, নিজস্ব উপগ্রহের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে হলে এখনও অনেক দূর যেতে হবে ভারতকে। ওয়াশিংটনের একটি থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের ‘ফেলো’ অ্যাশলে জে টেলিস বলেন, ‘চিনের ভয়টা কিন্তু রয়েই যাচ্ছে। শান্তির সময় হোক বা যুদ্ধের— ভারতীয় মহাকাশ পরিকাঠামোর নিরাপত্তা নিয়ে এখনও চিন্তা আছে।’ ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক বিপিন নারঙ্গও কার্যত একই সুরে জানিয়েছেন, গত কালের পরীক্ষাকে সাংঘাতিক কোনও অগ্রগতির প্রমাণ বলার সময় এখনও আসেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।