Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম খেতাব দিয়েছে কে? আ’লীগের কাছে প্রশ্ন নজরুল ইসলাম খানের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০১৯, ১২:২৪ এএম

আওয়ামী লীগ রনাঙ্গনে ছিলো না বলে তারা মুক্তিযুদ্ধে বীর যোদ্ধাদের নিয়ে নানারকম কটূক্তি করে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ নেতা) যখন জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানি চর বলেন, তখন তারা এটা ভুলে যান যে, মানুষটিকে জীবন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ খেতাব বীর উত্তমে ভূষিত করেছিলেন তাদেরই নেতা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান। জিয়াউর রহমান যদি পাকিস্তানি চর হয় তাহলে তাকে বীর উত্তম খেতাব যিনি দিলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে তার সম্পর্ক কেমন ছিলো। পাকিস্তানের একজন চরকে কে এরকম খেতাব দিতে পারে? এইটুকু বুদ্ধি তাদের নাই। তারা যে জিয়াউর রহমানকে অসম্মান করতে গিয়ে তাদের নেতাকে অসম্মান করছেন এটাও তারা বুঝেন না। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

নজরুল ইসলাম খান বলেন, জিয়াউর রহমান বুদ্ধিমান হিসেবে একটা কাজ করেছিলেন, এই যুদ্ধটা (মুক্তিযুদ্ধ) যাতে জনযুদ্ধে রূপান্তরিত হয়, সবাই যাতে এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে সেজন্য তিনি (জিয়াউর রহমান) তার প্রথম ঘোষণার পরিবর্তন করে ‘আওয়ার গ্রেট লিডার’ আমাদের মহান নেতা বলে তিনি শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের নাম উল্লেখ করে স্বাধীনতার ঘোষণাটা পরিপূর্ণ করেছিলেন।
তথ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজকে নানাভাবে তার (জিয়াউর রহমান) সম্পর্কে অপবাদ দেয়া হয়। এখন যিনি তথ্য মন্ত্রী হয়েছেন। এর আগে যিনি তথ্যমন্ত্রী ছিলেন, আমি বলেছিলাম এক বক্তবে তিনি তথ্য মন্ত্রী নন তিনি জিয়া পরিবারের সমালোচনাকারী। এখনকার যিনি হয়েছে উনিও প্রায় ওরকমই দেখছি। প্রায় প্রতিদিনই তিনি আজে-বাজে কথা বলেন। সেসব কথার অর্থ হয় না। তার কথা কেউ বিশ্বাস করে না। আমি বুঝি না তারা নিজেরা নিজের ভালো বুঝেন কিনা। এসময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের অবদানের পাশাপাশি বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র
প্রতিষ্ঠাসহ আধুনিক বাংলাদেশের অর্থনীতির বিনির্মানে জিয়াউর রহমানের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহŸায়ক বলেন, নির্বাচন দিয়ে আমরা আপনার (প্রধানমন্ত্রী) পরাজয় নিশ্চিত করতে পারব না। কারণ, আপনি সবকিছু দখলে নিয়েছেন। আপনাকে রাজপথের কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে সরাবো। কারণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে কিছু ঝুঁকি নিতে হবে। আর কীভাবে ঝুঁকি নিতে হয় বিএনপির নেতাকর্মীরা সেটা জানে। আন্দোলন ও জেল খাটা বিএনপির কাছে নতুন কোনো সাবজেক্ট (বিষয়) না। জীবন দেয়া এটাও কোনো সাবজেক্ট না। নতুন সাবজেক্ট হচ্ছে আমরা কবে থেকে শুরু করব।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন , এত বড় ডাকাত সরকার, নির্লজ্জ সরকার, ক্ষমাহীন সরকার এর আগে বাংলাদেশ কেন, কখনো দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় আসেনি। এরা তো ভোট ছাড়া ক্ষমতায় এসেছে। এর পরেও যখন প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের পক্ষে, স্বাধীনতার পক্ষে, শেখ মুজিবের পক্ষে কথা বলেন, জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করেন তখন আমাদের লজ্জা হয়।
লড়াইয়ের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেয়ার আহŸান জানিয়ে দুদু বলেন, আমরা যে যেভাবে যেখানে থাকি না কেন, লড়াই একটা আমাদের করতে হবে। এবার যদি আমরা ব্যর্থ হই তাহলে আমাদের নেত্রীকে কারাগার থেকে বের করতে পারব না। তাই আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, এক জায়গায় দাঁড়াই।
কৃষক দলের আহবায়ক শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, উলামা দলের সাধারণ সম্পাদক শাহ নেসারুল হকসহ কৃষক দলের আহŸায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ।###



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জিয়াউর রহমান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ