নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এসেছিলেন ঢাকার ক্লাবের হয়ে খেলতে, কিন্তু পেয়ে গেলেন খেলা শেখাবার প্রস্তাব। বয়স তার ৪১ পেরিয়ে, নিজ দেশের জাতীয় দলে বাতিলের খাতায় নাম উঠেছে সেটাও এক যুগ হতে গেল। কিন্তু বয়সকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এখনো যে ধরনের ক্রিকেট খেলেন সেটা তরুণদের আর্দশ। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তার ব্যাটিং বিসিবির কর্তাদের এতোটায় মুগ্ধ করেছে যে, টেস্ট দলের ব্যাটিং কোচের পদে তাকে দেখতে চান অনেকে।
ওয়াসিম জাফরের টেস্ট অভিষেক ২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিপক্ষে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের দুই ইনিংসেই শুন্য রানে আউট হবার পর পরের টেস্টেই করেছিলেন শতক। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে খেলেছেন ৩১ টেস্ট ও দুই ওয়ানডে। টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৪.১০ গড়ে করেছেন ১৯৪৪ রান। সাদা পোষাকে ১১টি অর্ধশতক ও ৫টি শতক আছে তাঁর ঝুলিতে। এই শতকের মধ্য দুটো ডাবল সেঞ্চুরিও রয়েছে তার।
প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেট নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। নিজে এখনো খেলে চলেছেন, মেন্টর হয়ে খেলাচ্ছেন রাজ্য দলকেও। এখনো পর্যন্ত ২৫৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে তার রান ১৯১৪৭, তার মধ্যে ৫৭টি শতক ও ৮৮টি অর্ধশতক রয়েছে।
রঞ্জি ট্রফিতে তিনি লিভিং লিজেন্ড। রান সংগ্রহে তার আশেপাশে কেউ নেই। শুধুমাত্র এক রঞ্জিতেই তার রান প্রায় ১২ হাজারের উপরে। ফিটনেস ধরে রেখে এখনো আব্দি খেলে চলেছেন। এবারের ঢাকা লিগে আবাহনীর হয়ে মাঠে নেমেছেন চার ম্যাচ, এ সময়ে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৮ রানের পর পরবর্তী তিন ম্যাচে করেছেন ৭৬, ৯৪ ও ৩৮ রান। তাঁর এই পারফরম্যান্সে বেজায় খুশি আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন, ‘দলের পরিকল্পনায় ওয়াসিম জাফর পুরোপুরি সফল। তাকে যে চিন্তায় দলে এনেছিলাম তার প্রতিদান সে দিয়েছে। সে অতি দ্রুত আমাদের কন্ডিশন এবং প্রতিপক্ষ বোলিং বুঝে ফেলেছে। সে অনুযায়ী পারফর্মও করছে।’
বাংলাদেশ দলে বরাবরই উপমহাদেশের বাইরের কোচেরা বেশি কাজ করে। ফলে এখানকার কন্ডিশন ও খেলার ধরণ সম্পর্কে জানতে তাদের বেশ সময় লেগে যায়। সে ক্ষেত্রে তরুণ ক্রিকেটার উঠে আসতে ওয়াসিম জাফরের মত অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে কোন কাজে লাগানো যায় কি না? এই প্রশ্নের জবাবে সুজন বলেন, ‘একাডেমি কিংবা হাইপারফরম্যান্স ইউনিট নয়, আমরা তো ওয়াসিম জাফরকে জাতীয় দলের টেস্ট ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কথা ভাবছি।’
যদিও এখনই সব খোলাসা করতে চান না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির এই চেয়ারম্যান। তবে ওয়াসিম জাফরকে কে খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশ দলের সাথে দেখা যাবে এটা অনুমান করাই যায়। কারণ এই ভারতীয় ওপেনার বাংলাদেশীদের আতিথেয়তায় নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন। সেই সাথে মোসাদ্দেক, আমিদের মনোসংযোগ বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।