নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বাহফে) আসন্ন নির্বাচনকে নিয়ে জটিলতা শুরু হয়েছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের হকিঅঙ্গন ইতোমধ্যে দু’ভাগে বিভক্ত হয়েছে। এক পক্ষে আছেন বাহফে’র বর্তমান অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক। যিনি নির্বাচনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে কাউন্সিলর হয়েছেন। আর অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কাউন্সিলর, মেরিনার ইয়াংস ক্লাবের হকি কমিটির চেয়ারম্যান ও বাহফের বর্তমান অ্যাডহক কমিটির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ। সাদেককে সমর্থন দিচ্ছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেডসহ সমমনা ক্লাবগুলো। সাঈদের সমর্থনে আছে মেরিনার ইয়াংস, মোহামেডান, ঊষা, ওয়ারী, ওয়ান্ডারার্স, ভিক্টোরিয়া ও বাংলাদেশ স্পোর্টিংসহ বেশ কিছু ক্লাব। ৮ এপ্রিল বাহফে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে এনএসসি পরিচালক (ক্রীড়া) মো: শাহ আলম সরদারের নেতৃত্বাধীন গঠিত নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী ৩১ মার্চ মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনক্ষণ নির্ধারণ হলেও এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে এক পক্ষের আরেক পক্ষকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। এরই জের ধরে সরব হচ্ছে হকিঅঙ্গন।
বাহফে নির্বাচনকে সামনে রেখে আব্দুস সাদেকের সমর্থনে গত ২৫ মার্চ ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় এক মতবিনিময় সভা। এ সভায় সাদেককে সমর্থনদানকারী অভিজ্ঞ হকি সংগঠক ও ফেডারেশনের আরেক সহ-সভাপতি সাজেদ এএ আদেল তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা সমঝোতার মাধ্যমে সবাইকে নিয়েই হকির নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি করতে চাই। তবে মনে হয় উনি (আলহাজ্ব একেএম মমিনুল হক সাঈদ) সমঝোতায় আসবেন না, নির্বাচন করবেন। আমার প্রশ্ন হলো, যে কোন ব্যাক্তি নতুন আসার পরে তিন মাসের মধ্যেই কেন সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করতে চান? কেন আমাদের লোকজন তাদের উৎসাহ যোগায়। একবার খন্দকার জামিল, আরেকবার শফিউল্লাহ আল মুনীর, এবার মমিনুল হক সাঈদকে এনে সাধারণ সম্পাদক বানাতে চাচ্ছে। মিডিয়ার মাধ্যমে আমি জানতে চাই, এই পদে (সাধারণ সম্পাদক) কি মধু আছে?’ তার এই বক্তব্য পরের দিন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ফলাও করে ছাপা হয়। আদেলের এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন মমিনুল হক সাঈদ। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাঈদ বলেন, ‘আমি হকি ফেডাশেনের আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে একজন প্রার্থী। ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে দেশের বিভিন্ন খেলার উন্নয়নে কাজ করার দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। ঢাকা মেরিনার ইয়াংস ক্লাবের হয়ে হকি অঙ্গনেও কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার দীর্ঘ দিনের। ঘরোয়া লিগে শুধু মেরিনারই নয়, মোহামেডান, ভিক্টোরিয়া, ওয়ান্ডারার্স, ওয়ারী, বাংলাদেশ স্পোর্টিং, দিলকুশা ও ব্যাচেলার্সসহ আরো কয়েকটি ক্লাবের দলগঠনে নানা প্রকার সহযোগিতা করে থাকি আমি। ঢাকার বাইরে কয়েকটি জেলায় হকি লিগ আয়োজনে ভূমিকা রেখেছি। জাতীয় দলের প্রস্তুতিতে ফেডারেশনের ব্যয় সংকোচনের জন্য বড় অংকের আর্থিক সহযোগিতাও করেছি।’ সাজেদ এএ আদেলের বক্তব্যের সূত্র ধরে বলতে চাই, এসব কাজে আমার হকির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা তিন মাসের নয়, সময়ের হিসেবে অনেক বছরের। আমি তার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ সাঈদ আরো বলেন, ‘সাজেদ আদেল জানতে চেয়েছেন, সাধারণ সম্পাদক পদে কি মধু আছে? এ প্রশ্নটা আমারও। গত তিন নির্বাচন ধরে এই পদটিকে ঘিরে বাহফেতে চলেছে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ ও ক্ষমতার অপব্যবহার। সাজেদ আদেল গং গত ত্রিশ বছর ধরে দেশের হকি নিয়ে মাঠের বাইরে নোংরা খেলা খেলে। এবার এর অবসান ঘটবে। আমি মনে করি তিন মাস নয়, তিন সপ্তাহও যদি কেউ হকি নিয়ে ভেবে থাকে তো তাদের উপরই দেশের হকি উন্নয়নের দায়িত্ব দেয়া উচিত।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।