Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিদ্ধান্তের ক্ষমতা নিলো হাউস অব কমন্স

ব্রেক্সিট ইস্যু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ব্রেক্সিট ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা সরকারের কাছ থেকে নিয়ে নিচ্ছেন বৃটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের এমপিরা। সেখানে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার গতিপথ বের করতে ধারাবাহিকভাবে কয়েক দফা ভোট হবে। একে বলা হচ্ছে ব্রেক্সিটের বিকল্প উপায় বা ইন্ডিকেটিভ ভোট। প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের সাবেক মন্ত্রী স্যার অলিভার লেটউইন এই প্রস্তাব এনেছিলেন, তার প্রতি ভোট দিয়ে সমর্থন জানিয়েছেন এমপিরা। সেই হিসেবে এখন পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ কার্যত এমপিদের হাতেই চলে গেছে। এবার এমপিরা সিদ্ধান্ত নেবেন বৃটেন একটি স্থায়ী কাস্টমস ইউনিয়ন চুক্তি করবে নাকি নরওয়ের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে। খবর স্কাই নিউজ।
বর্তমানে ব্রেক্সিট ইস্যুতে দেশটিতে একরকম অচলাবস্থা বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী মে ব্রেক্সিট নিয়ে যে চুক্তি করেছেন তা অনুমোদন দিতে অনীহা প্রকাশ করেছে হাউস অব কমন্স। এ অবস্থায় ভিন্ন কোনো পথ অবলম্বন করা হবে কিনা সে বিষয়ে পার্লামেন্টকে ক্ষমতা দেয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন কিছু এমপি। তাদের সেই আহ্বানে সাড়া পড়েছে।
গত সোমবার রাতে ক্ষমতাসীন দলের কমপক্ষে ২৯ জন বিদ্রোহী নেতার কারণে স্যার অলিভার লেটউইনের প্রস্তাবে সরকার হেরে যায়। লেটউইনের প্রস্তাবকে সমর্থন করেন হাউস অব কমন্সের বেশিরভাগ এমপি। এর অর্থ হলো, হাউস অব কমন্সে সরকারের কর্মকান্ড এই বিকল্প প্রস্তাবের ভোটের কারণে সীমিত হয়ে যাবে। কারণ ব্রেক্সিটের বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সেখানে স্বাভাবিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয় তা হবে না। হাউস অব কমন্সে সরকারি কর্মকান্ডে এমন স্থগিত অবস্থাকে ১৯৪২ সালের পর থেকে সরকার ও পার্লামেন্টের মধ্যকার সম্পর্কের সবচেয়ে মৌলিক পটপরিবর্তনের অন্যতম বলে আখ্যায়িত করেছেন শিক্ষাবিদরা।
হাউস অব কমন্সে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পাদন নিয়ে এমপিরা বিভিন্ন রকম উপায় নিয়ে প্রস্তাব জমা দিয়েছেন মঙ্গলবার দিনের শেষ ভাগ পর্যন্ত। এর পরে আর এমন কোনো প্রস্তাব দেয়ার সুযোগ নেই। যেসব প্রস্তাব বা মোশন জমা পড়েছে তার মধ্যে রয়েছে, (১) বৃটেন-ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি স্থায়ী কাস্টমস ইউনিয়ন।
নরওয়ের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা। (২) প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট চুক্তির পরিবর্তে সেখানে বিকল্প আয়োজন করা। (৩) বিরোধী দল লেবারদের বিকল্প ব্রেক্সিট পরিকল্পনা। (৪) কোনো চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট সম্পাদন। (৫) ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে একটি নিশ্চয়তাম‚লক গণভোট। (৬) লিসবন চুক্তির ৫০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা সংক্রান্ত নোটিফিকেশন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের বেরিয়ে যাওয়া বাতিল করণ।
যদিও আইনগত দিক দিয়ে এই ভোটের কোনো অর্থই নেই। এই ভোটের ফল মেনে চলতেও বাধ্য নয় সরকার। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে এমপিদের বলে দিয়েছেন, সরকারকে ভিন্ন পথে নিয়ে যেতে তিনি দেবেন না। যদি তা হাউস অব কমন্সে নির্দেশনামূলক ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়ও। যেসব প্রস্তাব এরই মধ্যে এসেছে তার কিছু ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সমঝোতার যোগ্য নয় বলে সতর্ক করেছেন টেরিজা মে। তবে ব্রেক্সিট নিয়ে নতুন এসব প্রস্তাবনার পক্ষে যদি বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা আসে হাউস অব কমন্সে, তাহলে তা রাজনৈতিকভাবে এড়িয়ে চলা তার জন্য অসম্ভব হয়ে পড়বে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রেক্সিট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ