নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
১৯৪৭ সালে সিডনি টেস্টে অস্ট্রেলীয় ওপেনার বিল ব্রাউন নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে ক্রিজের বাইরে চলে গিয়েছিলেন। বল করতে এসে রানআউট করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি বোলার। স্টাম্প ভেঙে দিয়ে ফিরিয়ে দিলেন বিল ব্রাউনকে আর সম্প্রতি তার সর্বশেষ উদাহরণ সৃষ্টি করলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। রাজস্থান রয়্যালসের জস বাটলারকে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব অধিনায়ক যেভাবে আউট করেছেন, সেটা অনেক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকেও মুখ খুলতে হয়েছে এ নিয়ে।
মানকাড আউট নিয়ে অতীতে যত আলোচনা হয়েছে তার সবই ক্রিকেটীয় চেতনা ঘিরে। আউট নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, শুধু আলোচনা ওভাবে আউট করাটা ভদ্রলোকের খেলার সঙ্গে যায় কি না! তবে অশ্বিনের আউটের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, এদিন অশ্বিন নিজের স্বাভাবিক অ্যাকশনে বল করেননি। ওই বলের সময় অশ্বিন বল ছোড়ার ভঙ্গি যখন করেছেন, তখনো ক্রিজে ব্যাট ছিল জস বাটলারের। অশ্বিন নিজের স্বাভাবিক গতি আটকে অপেক্ষা করেছেন কখন বাটলার দাগ পার হবেন এবং তারপর স্টাম্প ভেঙেছেন। অশ্বিন নিজে একে পূর্বপরিকল্পিত বলে স্বীকার করেননি, বলেছেন সহজাতভাবেই তিনি তখন অমনটা করেছেন। কিন্তু ভিডিও রিপ্লে দেখে অন্য কিছু ভাবার সুযোগ রয়ে গেছে।
এমন মুহূর্তে বিসিসিআইও বলেছে, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের অধিনায়কের ভদ্রতা দেখানো উচিত ছিল। বার্তা সংস্থা আইএএনএসের সঙ্গে কথোপকথনে বোর্ডের এক কর্মকর্তা বলেছেন, অশ্বিনের এ ঘটনায় ম্যাচের আম্পায়ারদের দোষও দেখছেন তারা, ‘এ ঘটনা সামলাতে ব্যর্থ হয়েছেন ম্যাচ অফিশিয়ালরা। ওই সময়ে আইন ঠিকভাবে মানা হলে বাটলারকে আউট দেওয়া সঠিক হয়নি। অশ্বিনকেও বুঝতে হবে, আইন ও ক্রিকেটীয় চেতনা দুটোই মাথায় রাখতে হবে।’
বিসিসিআইয়ের ওই কর্মকর্তা ম্যাচ জেতানোর জন্য অখেলোয়াড়সুলভ উপায় ব্যবহার না করে সত্যিকারের ক্রিকেটীয় দক্ষতা ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন অশ্বিনকে, ‘একজন খেলোয়াড়ের অন্যকে তাঁর ক্রিকেটীয় দক্ষতা দিয়ে বোকা বানানোর কথা, এমন লুকোছাপা করার দক্ষতা দিয়ে নয়। একজন ব্যাটসম্যান যদি সুযোগ নেয় কোনোভাবে, তাহলে সঠিক উপায়ে সেটার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে, একজন ভদ্রলোক যেভাবে করে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভালো জিনিস কিন্তু ভদ্রতা মানতে হবে।’
বিসিসিআইয়ের আরেক কর্মকর্তা বলেছেন, এমন কাণ্ড করলে জনপ্রিয়তা হারাতে বাধ্য ক্রিকেটার, ‘এমন ধরনের আউট পেছন থেকে ছুরি মারার মতো। এ কারণেই এটা সব সময় সমালোচিত হয়েছে। এটা আপনাকে ফল এনে দেবে কিন্তু এ উপায়ে কখনো আপনি মানুষের ভালোবাসা পাবেন না।’
রাজস্থান রয়্যালসের দূত ও আইপিএল-জয়ী সাবেক অধিনায়ক শেন ওয়ার্ন তো বলছেন অশ্বিন টুর্নামেন্টের আগে ক্রিকেটীয় চেতনা মেনে চলার চুক্তি করেও ভঙ্গ করেছেন, ‘একজন অধিনায়ক ও মানুষ হিসেবে অশ্বিনকে নিয়ে খুব হতাশ হয়েছি। আইপিএল ওয়ালে সব অধিনায়ক স্বাক্ষর করে এবং ক্রিকেটের চেতনা অনুযায়ী খেলার অঙ্গীকার করে। অশ্বিনের বল করার কোনো ইচ্ছাই ছিল না, এটা ডেড বল দেওয়া উচিত ছিল। বিসিসিআই সিদ্ধান্ত নিক কী করবে। এটা আইপিএলের ভাবমূর্তির জন্য ভালো কিছু নয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।