পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন নতুন হাইব্রীড নেতাদের চাপে কোনঠাসা হয়ে পড়ছেন আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতারা। হাইব্রীড নেতাদের জন্য তৃনমূল থেকে শুরু করে দলের নেতাদের মাঝে বাড়ছে ক্ষোভ। ‘বিশুদ্ধ’ নেতাদের ছাপিয়ে তাদেরই জয়-জয়কার। খুলনার ত্যাগী নেতারা ভীষণ ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়ে পড়েছেন। এদিকে পথে ঘাটে পাড়া মহল্লায় নতুন নতুন নেতার আবির্ভাব ঘটেছে। রাজনীতিতে বিশৃঙ্খলা ও দলের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে মৌসুমী নেতাদের কেন্দ্র করে। আবির্ভূত হওয়া এসব নেতার আধিপত্যে আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে সাধারন মানুষ ও তৃণমূল কর্মীরা। গত রোববার খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ১২ জন কাউন্সিলর আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া কাউন্সিলরদের মধ্যে ৮ জন জন সাবেক ও বর্তমান বিএনপি নেতা, বাকি ৪ জন স্বতন্ত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এই যোগদান ও হাইব্রীড নেতাদের প্রতি ক্ষোভের ঝড় উঠেছে ফেসবুকে। আওয়ামী লীগের কর্মী ও ত্যাগী নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বিভিন্ন ষ্ট্যাটাস দিচ্ছেন ফেসবুকে।
মহিদুল ইসলাম মিলন নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারি বলেন, বর্তমান খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের পেটের ভিতরে একগাদা কৃমি ঢুকে গেলো। শুধু পেট বড় হবে কিন্তু সব সময় পেটে পিড়া থাকবে আর পরিবেশ নষ্ট হবে।
খালিশপুরের এক আ.লীগের নেতা মো. সাইদুর রহমান লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ ২৪ মার্চ খুলনা বিএনপি ও জামাত মুক্ত। ইয়াসীর আরাফাত নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা তার ফেসবুকে লেখেন, খুলনার নীতি নির্ধারকদের কাছে জোরালো দাবি জানাই, নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও রকিবুল ইসলাম বকুলকে যোগদান করানোর জন্য। হেতেরা কি দোষ করছে?
আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করে বলেন, সরকারের গেল চার বছরে গোটা দেশে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা দলে দলে যোগ দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনে। অতীত অপকর্ম থেকে রেহাই পাওয়া, দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, আগামী নির্বাচনে জনগণ থেকে দলকে বিচ্ছিন্ন করার টার্গেট নিয়ে তারা আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছেন। জামায়াত-শিবির-বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ে এসব নেতাকর্মী ও সমর্থকরা প্রকাশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগে যোগদান করছেন। তিনি আরো বলেন, শুধু তাই নয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্থানীয় সংসদ সদস্যরাও (এমপি) নিজেদের আলাদা বলয় সৃষ্টি করতে বিএনপি-জামায়াত থেকে আসা নেতাকর্মীদের দলে গুরুত্বপূর্ণ পদও দিয়েছেন। এ কারণে দলের ক্ষমতার মাঠ এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে।
আওয়ামী লীগের এক কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দলের জন্য যারা সব সময় রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন এবং দলের প্রয়োজনে সবসময় নিবেদিত থেকেছেন তাদের উপযুক্ত পদ ও সম্মান দেয়া হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, এক দশকে একদিনও দলের জন্য রাজপথে নামেননি এমন কিছু হাইব্রিড নেতা কিছু কিছু কেন্দ্রীয় নেতাদের পেছন পেছন ঘুরে পদ পেয়ে যান। এসব হাইব্রিড নেতা কোনো দায়িত্বশীল পদ পেলে দলের জন্য তা মারাত্মক হুমকি হয়ে দাড়ায়। তাই আমাদের দাবী ‘স্টপ দ্য হাইব্রিড সেভ দ্য আওয়ামী লীগ।’
উল্লেখ্য, বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া কাউন্সিলররা হলেন- কেসিসির ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম, ৬ নং ওয়ার্ডের শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, ৭ নং ওয়ার্ডের সুলতান মাহমুদ পিন্টু, ৮ নং ওয়ার্ডের এইচ এম ডালিম, ১২ নং ওয়ার্ডের মনিরুজ্জামান মনির, ১৬ নং ওয়ার্ডের আনিসুর রহমান বিশ্বাস, ১৭ নং ওয়ার্ডের শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, ২০ নং ওয়ার্ডের শেখ গাউসুল আজম। বিএনপি নেতাদের মধ্যে শেখ হাফিজুর রহমান, আনিসুর রহমান বিশ্বাসকে আগেই বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। শেখ গাউসুল আজম নিজে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেও পরে বিএনপির মনোনয়ন নিয়েই কাউন্সিলর পদে জয় পান। বাকিরা মহানগর ও থানা বিএনপির বিভিন্ন পদে রয়েছেন।
এছাড়া স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে জয় পাওয়া ৪ কাউন্সিলর হলেন কেসিসির ২৩ নং ওয়ার্ডের ইমাম হাসান চৌধুরী ময়না, ২৬ নং ওয়ার্ডের গোলাম মওলা শানু, ৩১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ আরিফুল ইসলাম মিঠু এবং সংরক্ষিত ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরা আকতার। এছাড়া ১১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শেখ ইউনুস সরদারও আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।