Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তানের হাত বেঁধে রেখে ভারতকে একা ছেড়ে দেয়া যাবে না : গফুর

এফ-১৬ নয়, জেএফ-১৭ থান্ডার ব্যবহার করা হয়েছিল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেছেন, ভারতের সামরিক স্থাপনাগুলো আমাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে এবং আমরা যে তাদের ধ্বংস করার পুরোপুরি ক্ষমতা আমরা রাখি, এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে। পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশের পরই বিষয়টি আমরা তাদের বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। রাশিয়ান ওয়েবসাইট স্পুটনিককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পাক-ভারত সম্পর্ক ছাড়াও পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র সম্পর্কেও কথা বলেন তিনি। খবর ডন উর্দুর। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃসংযোগ অধিদফতর আইএসপিআরের প্রধান জানান, পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে যদি কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, তাহলে তা যেন উভয় দেশের জন্য সমানভাবে কার্যকর করা হয়। পাকিস্তানের হাত বেঁধে রেখে ভারতকে একা ছেড়ে দেয়া যাবে না। এক প্রশ্নের জবাবে জেনারেল আসিফ গফুর বলেন, পাকিস্তান শুধু নিজেদের আত্মরক্ষার্থেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করেছে। ১৯৯৮ সালে ভারত পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তি অর্জন করেছে। পাকিস্তানের হাতে এ শক্তি থাকায় উভয় দেশের মধ্যে কোনো বড় যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা যায়নি। পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর এ অস্ত্র ব্যবহার করা উচিত নয় জানিয়ে আসিফ গফুর বলেন, আমাদের পারমাণবিক শক্তি ভারতীয় উসকানি দমনের জন্য অন্যতম সহায়ক। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারত আকাশসীমা লংঘন করেছে জানিয়ে পাক বাহিনীর এ মুখপাত্র জানান, আমরা ভারতের মতো মিথ্যা দাবি করি না। আমাদের যুদ্ধ বিমানগুলো আকাশসীমাতেই ছিল। এর সব ভিডিও সংরক্ষিত আছে, কেউ দেখতে চাইলে আমরা তা দেখাতে প্রস্তুত আছি। ভারতের আকাশসীমা লংঘনের তাৎক্ষণিক জবাব দেয়াতেই যুদ্ধ পরিস্থিতির অবসান হয়েছে বলে দাবি করেন এ সামরিক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, পাকিস্তান তাৎক্ষণিক জবাব দেয়ায় ভারত পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। অন্যথায় পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতো। অপর এক খবরে বলা হয়, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বালাকোটে অভিযানের পর ভারতের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে এফ-১৬ নয়, বরং জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়েছিল। এমনটাই দাবি করেছে পাকিস্তান। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুরের দাবি, বালাকোটের পর পাকিস্তান যুদ্ধবিমানের যে ধ্বংসাবশেষ প্রমাণ হিসেবে দেখিয়েছিল ভারত, তা আদৌ মার্কিন প্রযুক্তিতে তৈরি এফ-১৬ নয়। ওই যুদ্ধবিমান আসলে চীনের সঙ্গে যৌথ প্রযুক্তিতে তৈরি জেএফ-১৭ থান্ডার-এর অংশ। ওই অভিযানের ফুটেজও তাদের কাছে রয়েছে বলে দাবি মেজর জেনারেল গফুরের। ভারতের দাবি ছিল, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান থেকে এআইএম-১২০ এএমআরএএএম (অ্যাডভান্সড মিডিয়াম রেঞ্জ এয়ার টু এয়ার মিসাইল) ছুড়েছিল পাকিস্তান। ডন উর্দু, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।



 

Show all comments
  • রিফাত ২৭ মার্চ, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
    সাবাশ
    Total Reply(0) Reply
  • Royal Haque ২৭ মার্চ, ২০১৯, ১০:৩৮ এএম says : 0
    উস্তাদ আগাইয়া যান
    Total Reply(0) Reply
  • গাজী মোঃ সাদ্দাম হোসেন ২৭ মার্চ, ২০১৯, ১০:৩৮ এএম says : 0
    ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশ ই চরম খারাপ, অত্যাচারী, সাম্রাজ্যবাদী এদের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে নাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Harun Khan ২৭ মার্চ, ২০১৯, ১০:৪০ এএম says : 0
    পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে যদি কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, তাহলে তা যেন উভয় দেশের জন্য সমানভাবে কার্যকর করা হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Faisal Farhan ২৭ মার্চ, ২০১৯, ১০:৪০ এএম says : 0
    It's a very logical speech . I support him
    Total Reply(0) Reply
  • কামরুল ইসলাম ২৭ মার্চ, ২০১৯, ১০:৪২ এএম says : 0
    ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ হলে উভয় দেশের সাথে আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবো। তাই আমরা যুদ্ধ চাই না।
    Total Reply(0) Reply
  • Omao faruk ২৭ মার্চ, ২০১৯, ১২:৩৩ পিএম says : 0
    Sabas Pakistan
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ