Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

থাই নির্বাচনে জয়ের পথে সামরিক জান্তা সরকার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০১৯, ৮:২২ পিএম

থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ইতোমধ্যে এগিয়ে রয়েছে দেশটির সামরিক জান্তা সরকার। রোববার শুরু হওয়া এ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত মোট ৯০ শতাংশ ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে জান্তা সমর্থিত পালাং প্রাচা রাথ পার্টি পেয়েছে প্রায় ৭৬ লাখের বেশি ভোট। অপরদিকে তাদের চেয়ে প্রায় পাঁচ লাখ ভোট কম পেয়েছে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দল থাই রাকসা চার্ট পার্টি। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ফল ঘোষণা করা হয়নি। খবর রয়টার্স।

দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা সমর্থিত পিয়ু থাই পার্টি ২০০১ সালের পর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সবকটি নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। তবে এবারের নির্বাচন যে জান্তা সরকারের মেয়াদ বৃদ্ধির একটি প্রচেষ্টা মাত্র তা আগে থেকেই স্পষ্ট ছিল।

২০১৪ সালে থাইল্যান্ডে সামরিক অভ্যুত্থানের পর এটিই প্রথম কোনো সাধারণ নির্বাচন। প্রায় পাঁচ কোটি ১৪ লাখ ভোটারের জন্য দেশ জুড়ে মোট ৯৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের নির্বাচনকে মূলত বর্তমান জান্তা সরকার এবং সামরিক শাসনবিরোধী গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের লড়াই হিসেবে দেখা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নির্বাসিত সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার অনুগতরা।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত থাকসিন সিনাওয়াত্রা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। পরে ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। মূলত এরপর প্রায় ১০ বছর যাবত তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে থাকেন। পরবর্তীতে তার বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রা দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। যদিও ২০১৪ সালে ইংলাককেও ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী। তখন জান্তা সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন প্রায়ুথ চ্যান ওচা। তার এই ক্ষমতা গ্রহণের পর সামরিক জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে বারংবার থাকসিনের দল পিউ চার্ট পার্টিকে ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। যে কারণে তারা থাই রাকসা চার্ট পার্টি নামে ছোট পরিসরে আরেকটি দল গঠন করেন এবং নির্বাসনে থাকা অবস্থাতেই থাকসিন দলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

এদিকে ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার সামরিক শাসকের দাগ মুছে নিজেকে নির্বাচিত সরকার হিসেবে দেখতে চায়। নির্বাচনের আগেই এর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যদিও বিভিন্ন পর্যবেক্ষক সংস্থার দাবি, অনেকটা দেরি করে অনুমতি দেওয়ায় তাদের পক্ষে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পর্যাপ্ত সংখ্যক পর্যবেক্ষক পাঠানো সম্ভব হবে না। আর বিশ্লেষকদের মতে, এই নির্বাচন পুরোপুরি অসঙ্গতিপূর্ণ। এতে করে থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আবারও নতুন ধাপে পৌঁছাতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: থাই নির্বাচন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ