Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছাগলের দুধে সেরে উঠল হরিণ শাবকটি

চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

হরিণ শাবকটি এতই দুর্বল উঠে দাঁড়াতেও পারছিল না। পান করতে পারছিল না মায়ের দুধ। এ অবস্থায় সঙ্কটাপন্ন এ শাবককে খাওয়ানো হলো ছাগলের দুধ। আর তাতেই সুস্থ, সবল হয়ে উঠে শাবকটি। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হরিণের খাঁচায় মাসহ আরও ১২ চিত্রা হরিণের সাথে এখন দিব্যি আরামে আছে এ শাবকটি। লাফালাফি করছে দিনভর। নিয়মিত পান করছে মায়ের দুধ। চিড়িয়াখানার চিকিৎসক ও কর্মীদের টানা প্রচেষ্টায় শাবকটি জীবন ফিরে পাওয়ায় খুশি সবাই। দর্শনার্থীরাও হরিণের খাঁচার পাশে ভিড় করছে শাবকটি দেখতে।
চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি কিউরেটর ডা. মো. শাহাদাত হোসাইন শুভ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সম্প্রতি দুর্বল অবস্থায় জন্ম নেয় শাবকটি। মাত্র দুইদিন যেতেই তার শরীর আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। মায়ের (হরিণী) দুধ পান দূরে থাক, উঠে দাঁড়াতেই পারছিল না। খাঁচায় চঞ্চল হরিণগুলোর ছোটাছুটিতে আঘাতও পাচ্ছিল শাবকটি। বিষয়টি নজরে আসার পর মা হরিণের কাছ থেকে অনেকটা জোর করেই শাবকটিকে আমরা বাইরে নিয়ে আসি। এরপর ছাগলের দুধ সংগ্রহ করে কুসুম গরম অবস্থায় তাকে নিয়মিত খাওয়ানো হয়। দেয়া হয় কিছু ওষুধপত্রও। পরম মমতায় শাবকটিকে কোলে নিয়ে শিশুদের মতো ফিডারে দুধ খাওয়ান চিড়িয়াখানার কর্মীরা। আর এতে করে মাত্র তিন দিনে সুস্থ এবং সবল হয়ে উঠে শাবকটি। তারপর তাকে ছেড়ে দেয়া হয় চিত্রা হরিণের খাঁচায়।
ডা. শুভ বলেন, হরিণের স্বভাব হলো জন্মের পর শাবককে মানুষ ধরলে পরবর্তীতে মা হরিণ ওই শাবক আর গ্রহণ করে না। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলো এখানে। শাবকটি এখন মায়ের মমতায় বড় হচ্ছে। তিনি বলেন, রীতিমতো অসম্ভব এ কাজটি করা গেছে চিড়িয়াখানার কর্মচারীদের প্রাণির প্রতি পরম ভালবাসার কারণে। ফয়’স লেকের পাশে ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে অর্ধশতাধিক প্রজাতির তিন শতাধিক প্রাণী ও পাখি আছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হরিণ

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
৭ নভেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ