Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ নতুন গণভোটের দাবি

গণভোট আয়োজন ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই : সাদিক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৭ এএম | আপডেট : ১:২৬ এএম, ২৫ মার্চ, ২০১৯

ব্রেক্সিট নিয়ে আরেকটি গণভোটের দাবিতে সমাবেশ হয়েছে যুক্তরাজ্যে। আয়োজকদের দাবি, প্রায় ১০ লাখ ব্রেক্সিট বিরোধী যোগ দিয়েছেন এই সমাবেশে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, লেবার পার্টির সহ-প্রধান সমাবেশে ভাষণ দিয়েছেন। সমাবেশে বামপন্থী কয়েকটি সংগঠন জোটবদ্ধ হয়ে অংশ নিয়েছে। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রেক্সিট চুক্তির বিরোধিতায় কনজারভেটিভ পার্টি থেকে পদত্যাগ করা সাবেক এক টোরি এমপি। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে,নতুন ব্রেক্সিট গণভোটকে জনগণের মধ্যে সৃষ্ট বিভক্তি নিরসনের পথ বলে মনে করেছেন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা। ২০১৬ সালের ব্রেক্সিট গণভোটের রায় অনুযায়ী ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ রাত ১১টার পর থেকে আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য না থাকার কথা ছিল যুক্তরাজ্যের। ব্রেক্সিট পরবর্তীকালে ইইউয়ের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের শর্ত নির্দিষ্ট করে একটি খসড়া চুক্তি প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সে তা সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যের সমর্থন পায়নি। মে আবার ইইউ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সংসদ সদস্যদের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে এমন একটি চুক্তি উপস্থাপন করেন গত ১২ মার্চ। কিন্তু তাও পরাজিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে তৃতীয়বারের মতো চুক্তিটি হাউস অব কমন্সে তোলার কথা জানিয়েছিলেন মে। কিন্তু প্রস্তাবটি পাসে যথেষ্ট সংখ্যক এমপির সমর্থ পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। শনিবার আরেকটি ব্রেক্সিট গণভোটের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে যোগ দেওয়া লন্ডনের মেয়র সাদিক খান মন্তব্য করেছেন, ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের বিভ্রান্তিকর পথ কার্যত ব্রেক্সিট বাস্তবায়নকে ব্যর্থ করেছে। এখন ব্রেক্সিটের বিষয়ে গণভোট আয়োজন ছাড়া কোনও পথ খোলা নেই। ব্রেক্সিটের ‘সময় শেষ হয়ে গেছে’ উল্লেখ করে সাদিক খান আরও বলেছেন, ‘নতুন করে চুক্তির বিষয়ে দেন-দরবার করার জন্য আর কোনও সময় অবশিষ্ট নেই। এবং প্রধানমন্ত্রী তার বিভ্রান্তিকর তৎপরতার মাধ্যমে আমাদের ভালো ইউরোপীয় বন্ধুদের আস্থা নষ্ট করেছেন। যারা উভয় পক্ষের স্বার্থ রক্ষা হয় এমন একটি ভালো চুক্তি পাওয়ার বিষয়ে সহায়তা করতে চেয়েছিলেন, তারাই এখন ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় ইতি চান।’ তিনি মনে করেন, থেরেসা মে দেশের চেয়ে দলকে প্রাধান্য দেওয়ায় যুক্তরাজ্য এখনই মাশুল দেওয়া শুরু করেছে। অনিশ্চয়তার কারণে ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষতি হয়েছে। বিনিয়োগ গেছে কমে। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই কোনও না কোনও শিল্প প্রতিষ্ঠান জানাচ্ছে, তারা যুক্তরাজ্যে উৎপাদন হ্রাস করে দেবে। বর্তমানে যে চুক্তিটি পাস করাতে চান মে তা বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যবহু সুযোগ নষ্ট হয়ে যাবে।আর যদি চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট কার্যকর হয় তাহলে ‘জাতীয় দুর্যোগের চেয়ে তা কম কিছু হবে না।’ সমাবেশের আয়োজন করা মারিয়েলা ফ্রস্ট্রাপ এবং রিচার্ড বেকন এক পর্যায়ে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট স্কয়ারে ঘোষণা দেন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা দশ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তখন যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টি থেকে পদত্যাগ করা এবং বর্তমানে নিরপেক্ষ সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ করা রাজনীতিবিদ অ্যানা সৌব্রিকে উচ্ছ¡াস প্রকাশ করতে দেখা যায়। ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির এই সদস্যসহ আরও কয়েকজন থেরেসা মের ব্রেক্সিট চুক্তির বিরোধিতা করে দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। এদিকে যুক্তরাজ্যের বামপন্থী কতগুলো সংগঠন ব্রেক্সিটের বিরোধিতায় একজোট হয়েছে। শনিবারের সমাবেশে ‘অ্যানাদার ইউরোপ ইজ পসিবলের’ ব্যানারে একতাবদ্ধ হওয়া এসব বামপন্থী সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রিন পার্টি, টিএসএসএ ইউনিয়ন, ওপেন লেবার এবং লেবার ফর সোশ্যালিস্ট ইউরোপের সদস্যরা। তাদের সঙ্গে রয়েছেন লেবার পার্টির কয়েকজন সংসদ সদস্যও। এদের একজন ক্লাইভ লিউইস। তিনি মনে করেন, ব্রেক্সিট বিরোধিতাকে যে শুধু মধ্যপন্থীদের আন্দোলন হিসেবে দেখা হয় তা ঠিক না। বামপন্থীরাও ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে। বিবিসি, রয়টার্স, গার্ডিয়ান।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রেক্সিট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ