Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জনগণের অধিকারে কাজ করছে সরকার

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৮ এএম

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, দেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারকে সমুন্নত করার জন্য বর্তমান সরকার অর্থাৎ শেখ হাসিনা সরকার কাজ করে চলেছে। মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন মানুষের সাংবিধানিক অধিকার হচ্ছে তার মানবাধিকার। বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত করতে বর্তমান সরকার অবিরাম কাজ করছে, এটা বাংলাদশের ইতিহাসে অন্য কেউ করেনি। মানবাধিকারের সোচ্চার ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে সরকারের ন্যূনতম কোনো বাধা নেই। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে চাই একজন নাগরিকেরও মানবাধিকার যেনো লঙ্ঘন না হয়। আমরা সকল সহায়তা দিতে প্রস্তুত। গতকাল শনিবার সকালে ঢাকার শাহবাগস্থ জাতীয় যাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে একটি পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হবার ব্যথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানেন। তার পরিবারের সকলকে হত্যা করা হলো, তিনি বিচার পাননি। পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে সারা দেশ বার্ণ ইউনিটে পরিণত করে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছিল। সে জায়গা থেকে আজকে আমাদের উত্তরণ হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সূচকে, সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে, অথচ এই বাংলাদেশই ছিল দারিদ্র্যতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটা মডেল। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ কল্পনাতীত জায়গায় পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশের কোনো প্রান্তে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসার অভাবে আছেন, এমন একজন মানুষ পাওয়া যাবে না। নাগরিকের মৌলিক অধিকারকে সমুন্নত করার জন্য বর্তমান সরকার অর্থাৎ শেখ হাসিনা সরকার কাজ করে চলেছে। মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন মানুষের সাংবিধানিক অধিকার হচ্ছে তার মানবাধিকার। সংবিধান নাগরিককে যে অধিকার দিয়েছে সে অধিকার থেকে তিনি যদি বঞ্চিত থাকেন, তাহলে তিনি মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হন।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের দাম্ভিকতা চূর্ণ করে তাদের বিচার করেছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে বাংলাদেশ মানবাধিকারকে সমুন্নত করেছে। মিয়ানমারের অসহায় নিরস্ত্র মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা ও জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই বর্বোরচিত ঘটনায় মিয়ানমারের মানুষ যখন বিপন্ন হয়ে পড়েছিল, সারা দুনিয়া তখন নির্বাক হয়ে তাকিয়ে ছিল। কেউ সাড়া দেয়নি। মানবাধিকারকে সমুন্নত করতে গণতন্ত্রের জননী, মানবাধিকারের জননী শেখ হাসিনা বর্ডার খুলে দিয়ে প্রায় ১৬ লাখ মানুষকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়ে, তাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের সুযোগ করে দিয়ে শেখ হাসিনা প্রমাণ করে দিয়েছেন সারা বিশ্বে তিনিই হচ্ছেন লিডার, যিনি মানবাধিকার রক্ষায় ভূমিকা রেখেছেন।
মানবাধিকার খবরের সম্পাদক ও প্রকাশক মো: রিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে, বক্তব্য রাখেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, সরকারি দলের এমপি বাসস্তী চাকমা ও উম্মে ফাতেমা নাজমা, প্রেস ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান, বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মো: আব্দুর রহিম খান, প্রখ্যাত যাদুশিল্পী জুয়েল আইচ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জনগণের অধিকার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ