পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে হাসপাতালে গেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। শুক্রবার (২৩ মার্চ) বিকালে হাসপাতালে গিয়ে কাদেরের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন তিনি।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জনানো হয়।
এর আগে শনিবার সকালে সিঙ্গাপুরে থাকা সেতু বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ জানান, ওবায়দুল কাদের শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। তার অ্যান্ডো ট্র্যাকিয়াল টিউব খুলে ফেলা হয়েছে। আস্তে আস্তে ঘুমের ওষুধও কমিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সেতু বিভাগের এই কর্মকর্তা বলেন, অ্যান্ডো ট্র্যাকিয়াল টিউব খোলার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক এবং নিওরোলজিস্ট প্রফেসর ডা. আবু নাসার রিজভীর সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের কথা হয়েছে। তিনি সেতুমন্ত্রীর চিকিৎসার সমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন।
তিনি বলেন, পরে স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টা) মেডিকেল বোর্ডকে উদ্ধৃত করে হাসপাতালের লবিতে থাকা কাদেরের পরিবারের সদস্য ও অন্যদের এ তথ্য জানান ড. রিজভী।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওবায়দুল কাদেরের সহধর্মিণী ইসরাতুন্নেসা কাদের, কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মীর্জা, সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, আওয়ামী লীগ নেতা নাইমুজ্জামান মুক্তাসহ আরও অনেকে।
অর্থমন্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদেরের কাছে ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন এবং আল্লাহর কাছে আশু রোগমুক্তি কামনা করেন।
৬৭ বছর বয়সী ওবায়দুল কাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ছাড়াও শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ সিওপিডিতে (ক্রনিক অবসট্রাকটিভপালমোনারি ডিজিজ) ভুগছেন।
গত ২ মার্চ সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি হলে এনজিওগ্রামে তার হৃদপিন্ডের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।