পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দশম জাতীয় সংসদের ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা চলছে। গত ২ জুন বাজেট পেশের পর ৮ জুন থেকে শুরু হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা। সংসদ সদস্যরা বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে বাজেট পাশের আগেই বিভিন্ন ধারা-উপধারায় বেশ কিছু কিছু বিষয় সংযোজন বিয়োজনের পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে গতকাল অধিবেশনে বাজেট নিয়ে আলোচনা চলাকালে বাজেট পেশকারী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান উপস্থিত ছিলেন না। এ নিয়ে সংসদ সদস্যরা ক্ষোভ জানিয়েছেন। এ নিয়ে বিরোধীদলের তিনজন সদস্য পয়েন্ট অর্ডারে দাঁড়ালেও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া তাদের সুযোগ দেননি।
সোমবার বেলা সোয়া ১১টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়। শুরুতেই তিনি দিনের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা ও উত্তরপর্ব টেবিলে উত্থাপন ঘোষণা করেন। এর পরেই বাজেটের উপরের সাধারণ আলোচনার ঘোষণা দিতেই পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ। তার সঙ্গ দেন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী। কিন্তু সুযোগ দেননি ডেপুটি স্পিকার। তিনি বলেন, মাননীয় সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, বাজেট আলোচনা চলছে, এ মুহূর্তে পয়েন্ট অব অর্ডার নিবো না। আমি আপনাকে পরে দিবো। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দু’জন কর্মকর্তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা প্রত্যক্ষ করছেন। আপনি বলতে চাইলে পরে বলবেন।
যদিও ফিরোজ রশিদ যখন ফ্লোর নিয়ে কথা বলতে চান তখন সংসদে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক চলছিল। যে কারণে অর্থমন্ত্রী বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি বলে জানা গেছে। ফিরোজ রশিদ কথা বলার সুযোগ না পেলেও বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সুবিদ আলী ভূঁইয়া বলেন, আমরা আলোচনা করি। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী না থাকলে আলোচনা ফলপ্রসূ হয় না।
এর আগে গত রোববারও প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে কাজী ফিরোজ রশিদ অর্থমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, বাজেট আলোচনা হবে অর্থমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও কর্মকর্তারা থাকবেন না। সেই আলোচনা করে লাভ কি? আমরা কার কাছে বলবো? মাননীয় স্পিকার আপনাকে বলে তো লাভ হবে না।
সংসদে বাজেট আলোচনায় দেয়া পরামর্শ গ্রহণ করা হয় না -সুবিদ আলী ভূঁইয়া
আওয়ামী লীগদের সিনিয়র সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া বলেছেন, সংসদে বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়, পরামর্শ দেয়া হয কিন্তু সেসব পরামর্শ গ্রহণ করা হয় না। কণ্ঠভোটে বজেট পাস হয়ে যায়। সংসদ সদস্যদের পরামর্শগুলো গ্রহণ করা উচিত। বাজেট পেশ করার আগে সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা করা উচিত। সেখানে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক বাজেটের বিষয়গুলোর চুলচেরা বিশ্লেষণ হতে পারে।
সংসদে আজ গতকাল প্রস্তাবিব বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। সকালে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করে বাজেট আলোচনা শুরু হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে নিয়ে বাজেট আলোচনার সময় সংসদে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টরা সংসদে উপস্থিত থাকেন না বলে মন্তব্য করেন। সুবিদ আলী ভূঁইয়া তার নির্বাচনী এলাকাসহ দাউদকান্দিকে জেলা ঘোষণার দাবি জানান।
বাজেট আলোচনায় আরো অংশ নেন প্রতিমন্ত্রী আব্দূল্লাহ আল ইসলাম জ্যাবক, নারায়ন চন্দ্র চন্দ, মো: রুহুল আমিন, গাজী মো: আমজাদ হোসেন, আমিনা আহমেদ, মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, বেগম খোরশেদ আরা হক প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।