পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পেঁয়াজ, রসুন ও চালের দাম কিছুটা কমতির দিকে থাকলেও ঊর্ধ্বমুখী সবজি ও মাছ গোশত ও ডিমের বাজার। মুরগির বাজার আরও আকাশচুম্বী। কেজিতে দেশি মুরগির দাম বেড়েছে অন্তত ১০০ টাকা। বাড়তির দিকে রয়েছে ডিমের দামও। তবে কমতির দিকে রয়েছে চালের দাম। বোরো মৌসুমকে সামনে রেখে কেজিতে চালের দাম কমেছে অন্তত পাঁচ টাকা। আর পাইকারি বাজারে নতুন ওঠা দেশি পেঁয়াজ মিলছে মাত্র ২০ টাকা কেজিতে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, বাড্ডা, সেগুন বাগিচা, কাপ্তান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
কারওয়ানবাজারের খুচরা বাজারে দেখা গেছে, বেগুন ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, কড়লা ৮০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, পেঁপে ২৫, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা ও বরবটি ৬০ টাকা, টমেটো ৩০ ও শশা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ৩০, পাতাকপি ২৫, লতি ৭০, সাজনা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ।
দেশি পেঁয়াজ ২০ টাকা এবং রসুন ৪০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর কেজিতে আদার দাম ৮০ টাকা। পেঁয়াজের দাম বিষয়ে রবিউল ইসলাম নামের একজন পাইকারি বিক্রেতা বলেন, দাম এখনই খুবই কমই। কারণ বাজারে নতুন পেঁয়াজ উঠছে এবং এসব পেঁয়াজ অনেকাংশে কাঁচা। রসুনের দাম বিষয়ে এক বিক্রেতা বলেন, রসুনের দামও কমেছে। সপ্তাহ দুই আগে রসুনের দাম ছিল ১০০ টাকা।
এদিকে খুচরা বাজারে সবজির বাজার ঊর্ধ্বমুখী। কমবেশি সব সবজির দামই ৬০ থেকে ৮০ টাকা। শান্তিনগর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গোল বেগুন ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, কড়লা ১০০ টাকা, উস্তা ৮০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, পেপে ২৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা ও বরবটি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া আলু ২০ টাকা, পেঁয়াজ ৩০ টাকা ও রসুন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম কমেছে চালের।
বিক্রেতারা বলেন, মিনিকেটের দাম কেজিতে ৬ থেকে ৮ টাকা কমেছে। আগে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি করলেও এখন ৫০ টাকায় বিক্রি। গত ৩ থেকে ৪ দিন ধরে চালের দাম কম।
চালের দাম কমার তথ্য পাওয়া গেছে কারওয়ানবাজারের খুচরা বাজারেও। মিনিকেট ৫৫ টাকা, আটাশ ৪০ টাকক ও নাজিরশাইল ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মায়ের দোয়া স্টোরের বিক্রেতা বাবলু বলেন, কেজিতে সব চালের দাম অন্তত ৪ টাকা করে কমেছে। কারণ একমাস পরেই নতুন ধান উঠবে। কৃষক তাদের পুরাতন ধান ও চাল এখন বিক্রি করে দিচ্ছে।
মাছের বাজারে বাড়তি চাহিদা রয়েছে ইলিশের। দামও কিছুটা বেশি। বৈশাখকে সামনে রেখে দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানালেন বিক্রেতারা। কারওয়ানবাজারের কিচেন মার্কেটের মা-বাবার দোয়া মৎস্য ভাÐারের মালিক মাসুদ রানা বলেন, কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে ইলিশের দাম বেড়েছে। সামনে আরও বাড়তে পারে। সালাম নামের আরেক বিক্রেতা জানালেন, মাঝারি সাইজের ইলিশের দাম পিস প্রতি বেড়েছে ১০০ টাকা। বিক্রেতারা জানান, এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা, ৯০০ গ্রাম ১ হাজার টাকা এবং ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পিসে বিক্রি হচ্ছে।
দাম বেড়েছে ব্রয়লার ও দেশি মুরগির। ব্রয়লার এখন ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে ব্রয়লারের কেজি ছিল ১৫০ টাকা। কেজিতে দেশি মুরগির দাম ১০০ টাকা বেড়ে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাকিস্তানী কর্কের দাম কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া গরুর গোশত ৫২০ থেকে ৫৫০ ও খাসির গোশত ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কারওয়ানবাজারে গরু ও খাসির গোশত বিক্রি হতে দেখা গেছে। ৫২০ টাকায় গরুর গোশত বিক্রির কথা থাকলেও অধিকাংশ দোকানে ৫৫০ টাকার মূল্যতালিকা ঝুলতে দেখা গেছে। খাসির গোশতের ক্ষেত্রে মূল্যতালিকায় দাম লেখা রয়েছে ৮০০ টাকা।
বিক্রেতারা বলছেন ৭৫০ টাকায়ও খাসির গোশত বিক্রি হয়েছে। জানতে চাইলে এক গোশত বিক্রিতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সিটি করপোরেশন দাম নির্ধারণ করে দিলেও গোশত তো আর তারা বিক্রি করছে না। কিনতে হচ্ছে আমাদের। বেচতেও হচ্ছে আমাদেরই। ৫৫০ টাকা লেখা থাকলেও ৫২০ টাকায়ই বিক্রি করছি। আরেক বিক্রেতা বলেন, নির্ধারিত মূল্য শুধু রমজান মাসের জন্য। কয়েকদিন আগে আমার এই ম‚ল্য লিখেছি। এখন দাম কমেছে। খাসির গোশত ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করছি। গোশতের দামের পাশাপাশি স্বস্তি দিচ্ছে না ডিমের দামও। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে বেড়েছে প্রায় ১০ টাকা। গত সপ্তাহে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিমের দাম এখন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়।#######
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।