পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্যঙ্গচিত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উপহাস করলেন কিংবদন্তি অভিনেতা জিম ক্যারি। সোমবার টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করে নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলার জন্য সরাসরি ট্রাম্পের দিকে আঙ্গুল তুললেন তিনি। ছবিতে দেখা যায়, উল্কার মতো পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছেন ট্রাম্প। তার মাথা-চুল যেন আগুনের গোলা। কপালে স্বস্তিকা চিহ্ন। দু’চোখের মণি সাদা। ছবির নীচে লেখা, ‘নিরপরাধ মানুষ খুন হয়ে যাচ্ছে। পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। শিশুদের জীবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর এই সব কিছুই ওর জন্য।’ খবর ডেইলি মেইল।
এর আগে, শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে হামলার পরেও নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন ক্যারি। সেখানে তার চোখে পানির ধারা। সেখানে লেখা ছিল, ‘নিউজিল্যান্ড আমার কান্না তোমার জন্য।’ ক্যারি একা নন, ক্রাইস্টচার্চে মুসলিম সম্প্রদায়ের উপরে এই হামলা নিয়ে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া প্রথম থেকেই প্রবল সমালোচিত হয়েছে। অনেকের দাবি, চরম বর্ণবিদ্বেষী ব্রেন্টনের উগ্র দক্ষিণপন্থী মতাদর্শের বিরুদ্ধে একটি শব্দও খরচ করেননি প্রেসিডেন্ট। বরং বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডে একটা ছোট দলের কয়েকটা লোক এই ভয়ঙ্কর কান্ডটা ঘটিয়েছে। তার বেশি কিছু নয় এই ঘটনা।’ তাকে নিয়ে চলা এই বিতর্কের মধ্যেই মঙ্গলবার ট্রাম্প টুইট করেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডের হামলার জন্য আমাকে দায়ী করছে ভুয়া কিছু সংবাদমাধ্যম। হাস্যকর চেষ্টা।’
ক্রাইস্টচার্চের জঙ্গি ব্রেন্টন ট্যারান্ট নিজেকে ট্রাম্পভক্ত বলে দাবি করে বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। আমেরিকার ডেমোক্র্যাট সেনেটর কির্স্টেন জিলিব্র্যান্ড বলেন, ‘বরাবর শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসবাদীদের আড়াল করার চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প। একের পর এক বর্ণবিদ্বেষী হামলার পরে রুখে দাঁড়ানোর বদলে হামলাকারীদের উৎসাহ দিয়েছেন তিনি। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।