পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে এখন খাদ্য সংকট তো নাই’ই বরং একবছরের অতিরিক্ত খাদ্য মজুদ থাকে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।
বুধবার (২০ মার্চ) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনিস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং কর্তৃক আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু স্বারক বক্তৃতা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য দেন।
তিনি আরোও বলেন,‘আমরা রুপকল্প ‘ভিশন-২০২১’র দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। এখন বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু আয় ১৯০০ ডলার ছাড়িয়েছে। প্রবৃদ্ধির হার ৮.৫ শতাংশ অতিক্রম করতে যাচ্ছে। একসময় বাংলাদেশে প্রচুর খাদ্য সংকট থাকলেও এখন আমরা নিজেরা খেয়ে পড়ে অন্যদেশকেও সহায়তা করছি। নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর দশহাজার টন খাদ্য ও ত্রান দেয়া হয়েছে। শ্রীলংকায় বিশহাজার টন খাদ্য ত্রান সহায়তা করা হয়েছে।’
এই সময় তিনি দেশে অতিদ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতি ও অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, যে কোন দেশে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলে পরিবেশগত সমস্যা সৃষ্টি হয়। সেই বিষয়টি সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী ১০০টি অর্থনৈতিক জোনের বাহিরে শিল্পাঞ্চল না গড়তে কার্যপর পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিষয়ক এই উপদেষ্টা বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন বাংলাদেশে শোষিতদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক। দূর হোক অনাহার, দারিদ্র আর রোগ-শোক। তার এই ইচ্ছার পেছনে লুকিয়ে ছিলো বিজ্ঞান ভিত্তিক সমাজ গঠন। তাই বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে বর্তমান শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞন মনস্ক হতে হবে। বিজ্ঞানে মনোযোগ দিয়ে তা করায়াত্ত করে নিজেদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়তে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক এবং অভিন্ন। বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় অর্জন তিনি বাঙালি জাতির চেতনা এবং সত্ত্বা জাগিয়ে তুলেছেন।’
এইচ টি ইমাম তাঁর ভাষণে আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের শুধুমাত্র মহান স্থপতি নন, তিনি একই সঙ্গে বাংলাদেশ নির্মাণের প্রকৌশলীও বটে। তিনি বাংলাদেশকে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন শৈল্পিক এবং বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তা-ভাবনা দিয়ে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন এশিয়ান ইনষ্টিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি,থাইল্যান্ড) এর ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ প্রফেসর ড. জয়শ্রী রায়। তিনি তাঁর বক্তব্যে বিশ্ব আবহাওয়া ও জলবায়ূ পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি ভবিষ্যতের সম্ভাবনাসমূহ নিয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের গবেষণা করার আহবান জানান।
ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং এর পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ তৌহিদুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।