Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইনজীবী ছাড়াই লড়বে সাদা সন্ত্রাসী ব্রেন্ট ট্যারান্ট

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নুর মসজিদ এবং লিনউড মসজিদে বর্বরোচিত হামলায় নিহতদের মধ্যে আরও কয়েকজনের ছবি প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। এখন পর্যন্ত ৩২ জনের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। ভয়াবহ এ হামলায় ৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এদিকে, হামলার প্রধান ‘আসামি’ ব্রেনটন টারান্ট তার আইনজীবীকে বরখাস্ত করেছে এবং আগামী শুনানিতে সে নিজেই আদালতে কথা বলবে বলে জানিয়েছে। খবর সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলায় নিহতদের মধ্যে শিশুসহ শিক্ষার্থী পাইলট, প্রকৌশলী এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রয়েছেন। নিহত হওয়া ওজাইর কাদির নামের শিক্ষার্থী পাইলট নিউজিল্যান্ডের ইন্টারন্যাশনাল এভিয়েশন একাডেমিতে পড়ালেখা করতেন। এর আগের তথ্যে জানা যায়, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদের হামলায় আতা এলায়েন নামে ৩৩ বছর বয়সী এক ফুটবলার নিহত হন। নিউজিল্যান্ডের জাতীয় ফুটসাল (ইনডোর ফুটবল) দলের সদস্য ছিলেন তিনি। তিনি বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের খেলায় গোলকিপারের দায়িত্ব পালন করেছেন।
রোববার নিউজিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট জাসিন্ডা আরডার্ন জানান, শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। বুধবারের মধ্যে সব মরদেহ সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোর কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে, আদালত নিযুক্ত টারান্টের আইনজীবী রিচার্ড পিটার্স সোমবার সিএনএন’কে জানান, ‘টারান্টের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ভালো মনে হয়েছে এবং তিনি নিজেই নিজের প্রতিনিধিত্ব করবেন আদালতে।’
আগামী ৫ এপ্রিল তাকে দ্বিতীয়বারের মতো আদালতে হাজির করা হবে। এর আগে শনিবার তাকে প্রাথমিকভাবে জেলা জজ কোর্টে হাজির করা হয়। তখন টারান্টের আইনজীবী হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন পিটার্স। তবে ‘শেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদ’র অনুসারী অতি ডানপন্থী সন্ত্রাসী টারান্টের এ ঘোষণায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে যে, আদালতে সে তার উগ্রবাদী দৃষ্টিভঙ্গি, যেটা সে পোষণ করে, প্রকাশ করে দিতে পারে।
গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নুর ও লিনউডের একটি মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে আল নুর মসজিদে স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান দিয়ে ব্যাপক নৃশংসতা চালায় অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত ২৮ বছর বয়সী ওই টারান্ট। শুধু তাই নয়, ১৭ মিনিটের ওই হত্যাযজ্ঞের ঘটনা সরাসরি অনলাইনে প্রচারও করে সে। ধারণা করা হচ্ছে, লিনউডের মসজিদেও সে হামলা চালিয়েছে। উভয় ঘটনায় অন্তত ৫০ জন মুসল্লি নিহত এবং অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে টারান্টের বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে আরো একাধিক মামলা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রিচার্ড পিটার্স নামের ওই আইনজীবী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘টারান্ট ইঙ্গিত দিয়েছে, সে কোনো আইনজীবী চান না। সে নিজেই আদালতে কথা বলতে চান।’ এর আগে শনিবার যখন থাকে হাজির করা হয় তখন তার মধ্যে নৃশংসতা চালানোর পরও অনুতপ্ত মনে হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রেন্ট ট্যারান্ট
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ