পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেলওয়ে তার কোনো জমি বা ট্রেন আর কারো কাছে লিজ দেবে না। নতুন করে কোনো লিজ বা চুক্তি নবায়ন করবে না। তিনি বলেন, জনগণের টাকায় সরকার নতুন নতুন লোকোমেটিভ কিনবে, কোচ কিনবে, রেলওয়ের স্থাপনা, লোকবল ব্যবহার করবে উনারা (লিজগ্রহিতা ব্যক্তি বা কোম্পানি) চুক্তির শর্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কেবল টাকা গুনবেন। জনগণের জন্য পড়ে থাকবে ভোগান্তি আর রেলওয়ের জন্য থাকবে বদনাম। এটা আর হতে দেওয়া হবে না। রেলকে রেলওয়ের লোককেই চালাতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় নয়।
রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রেলমন্ত্রী বলেন, কোটি কোটি টাকার ক্রয়চুক্তি হবে, আর ম্যানেজমেন্ট দুর্বলতায় সবকিছু যদি বেসরকারি কোম্পানির হাতে দেওয়া হয়, তবে কোনো সুফল জনগণ পাবে না।
গতকাল সোমবার দুপুরে রেলভবনে দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান হুন্দাই রোটেম’র সঙ্গে ২০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, রেলপথ মন্ত্রণালয় রেলের ভাড়া বাড়ানোর কোনো চিন্তা করেনি। কারণ কেবল যাত্রী ভাড়া দিয়ে রেলওয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের ব্যয় বহন করা যায় না। আমি নিজস্ব আগ্রহের কারণে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তারা রেলের উন্নয়ন, অবকাঠামো, সেবা বিষয়ে একটি জরিপ চালাবে। এরপর তাদের প্রতিবেদন আমাকে দেবে। আমি সেই রিপোর্ট নিয়ে রেলের সার্বিক উন্নয়নের বিষয়ে সবার সঙ্গে কথা বলবো। ওই কমিটি রেলের সেবা, ভাড়া, ও পার্শ্ববর্তী দেশেগুলোর ভাড়ার তুলনামূলক চিত্রও তুলে ধরবে।
রেলপথ নিয়ে সরকারের চিন্তা ভাবনা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আমরা রেলপথ ও পানিপথকে অবজ্ঞা করে রাস্তায় (সড়কপথে) চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো দেশ রেলপথ, পানিপথ, সড়কপথ ও আকাশ পথের সমন্বয় ছাড়া উন্নতি করতে পারে না। বাংলাদেশের মতো অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ দেশে সস্তায় যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে রেলের বিকল্প নেই। এ কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত বুলেট ট্রেনের সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। মন্ত্রী জানান, পদ্মাসেতু হয়ে পায়রা বন্দর ও যশোরে রেললাইনের কাজ চলছে। দেশের প্রতিটি জেলাকে রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত করা হচ্ছে।
এদিকে গতকালের চুক্তি অনুযায়ী ৬৭৪ কোটি ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৩৮২ টাকায় ২০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ ইঞ্জিন সরবরাহ করবে হুন্দাই রোটেম কোম্পানি। বর্তমানে রেলওয়ের বহরে কোম্পানিটির ৩৯টি লোকোমোটিভ সচল আছে। নতুন ইঞ্জিনের অর্থ জোগাবে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন হুন্দাইয়ের সিইও ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিয়ং উক কিম ও প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মতিন চৌধুরী।
চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে এই প্রথম শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত ইঞ্জিন সরবরাহ করছে হুন্দাই যাতে চালক ও সহকারীর জন্য চারটি ক্যাব আসন থাকবে। ইএন ১২ হাজার ৬৬৩ ধরনের শক্তি থাকবে ২ হাজার ২০০ হর্সপাওয়ারের। শীততাপ যন্ত্রের সক্ষমতা থাকবে ১৫ টন। ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে এই মিটারগেজ লোকোমোটিভ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।