Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

থাইল্যান্ডে রূপকথার নায়কেরা

প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক: লেস্টারের সিটি সেন্টারে প্রিমিয়ার লিগের বিজয় প্যারোডের ঠিক পরের দিন থাইল্যান্ডে ভ্রমণে লেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাবের সদস্যরা। ক্লাবটির থাই মালিকের মাতৃভূমিতে বিজয় উদজাপন করেছে রূপকথার নায়কেরা। ব্যংককের সুবর্ণভূমি এয়ারপোর্টে থাইরা নিজেস্ব ঐতিয্যে স্বাগত জানান ক্লাদিও রেনিয়েরিদের। সেখানে উদযাপনের ভঙ্গিমায় বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন দলের অধিনায়ক ওয়েজ মরগান, লেফ্ট ব্যাক ক্রিশ্চিয়ান ফুস ও দলের অন্যান্য সদস্যরা। তবে জাতীয় দল থেকে ডাক পড়ায় তাদের সাথে ছিলেন না দলের ‘তারকা ট্রায়ো’ জেমি ভার্ডি, রিয়াদ মাহরেজ ও এন’গোলো।
গেল বছরও ঠিক এই সময়টাতে নিজ দলের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন দলের মালিক ও থাই ধনকুবের ভিচাই শ্রীভাধানাপ্রভা। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সেই আর এই ভ্রমণে কত ফারাক! সেবার লিগ থেকে অবনমন এড়ানোর ‘সাফল্যে’ পুরো দলকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন ভিচাই। এছাড়াও উদ্দেশ্য ছিল দেশে ক্লাবটির জনপ্রিয়তা বাড়ানো। কিন্তু হয়েছিল ঠিক উল্টোটা। সেখানে পৌঁছে লেস্টারের খেলোয়াড়রা যে কা- ঘটালেন তাতে লজ্জায় মুখ লুকোনোই দায় ছিল ক্লাব কর্তাদের। বেশ কয়েকজন থাই নারীর সঙ্গে তৎকালীন কোচের ছেলে জেমসসহ তিনজন খেলোয়াড় হোটেলকক্ষে ‘সেক্স টেপ’ বানান। পরে যেটি ফাঁস হয়ে যায়। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, খেলোয়াড়েরা থাই নারীদের চোখ ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে বিদ্রুপ করছেন, সরস সব মন্তব্য ছুঁড়ে দিচ্ছেন। ঘটনাটি তখন রীতিমতো থাইল্যান্ডে বিতর্কের ঝড় তুলেছিল। যে লেস্টারকে নিয়ে আসা হয়েছিল থাইল্যান্ডে জনপ্রিয়তা বাড়াতে। তারাই ক্লাবটিকে করে তুলল চরম অজনপ্রিয়! কিন্তু সময়ের চক্রে পাল্টে যায় কতকিছু! পাল্টে গেছে লেস্টারের পরিচয়ও। বছরান্তে থাইল্যান্ডের সেই সমর্থকরাই একই সেই লেস্টারকে স্বাগত জানালো ‘চ্যাম্পিয়ন’ সম্বলিত লেস্টার সিটির পতাকা ও থাই পতাকা হাতে নিয়ে। লেস্টারের সাফল্য মানেই তারা মনে করে থাইদের সাফল্য। অথচ ৬ বছর আগেও অধিকাংশ থাই-ই ক্লাবটি সম্পর্কে তেমন চিনতেনই না। মালিকানা ভিচাইয়ের দখলে আসার পর লেস্টার সিটির স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয় তার নিজেস্ব প্রতিষ্ঠান ‘কিং পাওয়ার’-এর নামে। এরপর থেকেই ক্লাবটির প্রতি আগ্রহ জন্মাতে থাকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশেটিতে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: থাইল্যান্ডে রূপকথার নায়কেরা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ