Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিনগুণ বাড়লো ফিফা অনুদান!

প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)’র অনুদান তিনগুণ বাড়িয়ে দিলো বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। মেক্সিকোতে সদ্যসমাপ্ত ফিফা কংগ্রেসে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নতুন আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা হওয়ায় বাফুফের অনুদান তিনগুণ বেড়ে বার্ষিক সাড়ে সাত লাখ ডলার হয়েছে। বাংলাদেশ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা যা আগে পেতো বছরে আড়াই লাখ ডলার। গত ১২ ও ১৩ মে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসে সদস্য দেশগুলোর জন্য অনুদান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিটি সদস্য দেশ যদি সারা বছর ফুটবলের কোন কর্মকান্ডে নাও থাকে তবুও তারা এক লাখ ডলার অনুদান পাবে।
এছাড়া জাতীয় ফুটবল, মহিলা ফুটবল লিগ, বেতনভুক্ত সাধারণ সম্পাদক, যুব ফুটবল, বয়সভিত্তিক ফুটবল, রেফারি প্রশিক্ষণ, টেকনিক্যাল ডিরেক্টরসহ আটটি কর্মকান্ডের প্রতিটির জন্য পঞ্চাশ হাজার ডলার করে বাড়িয়েছে ফিফা। এর আগে বাফুফে নিয়মিতই এসব কর্মকান্ড পরিচালনা করেছে। বাফুফে যদি বর্তমানে এগুলো অব্যাহত রাখে তাহলে ফিফার পাঁচ লাখ ডলারের প্যাকেজটি পেয়ে যাবে তারা।
ফিফার এবারের কংগ্রেসে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় জাতীয় ফুটবল দলের দেশের বাইরে খেলার জন্য আড়াই লাখ ডলারের ‘ট্রাভেল সাবসিডি’। দেশের বাইরে খেলতে যাওয়ার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর যুব ও জাতীয় দলের যেন কোন আর্থিক সমস্যা না হয় সে জন্যই ফিফা এখন থেকে আড়াই লাখ ডলারের অনুদান দেবে। যা এর আগে কখনো দেয়নি তারা। শুধু তাই নয়, ফিফার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিজেদের  দেশে বাস্তবায়ন করতে প্রতিবছর আরো পাঁচ লাখ ডলার আনতে পারবে বাংলাদেশ। এর জন্য শুধু প্রয়োজন হবে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ফিফার কাছে উপস্থাপন ও অনুমোদন আদায় করা। ফিফা কংগ্রেস থেকে ফিরে গতকাল এসব তথ্য দেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। তিনি বলেন, ‘ফুটবলে বাংলদেশের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। আমরা একটি দিনও বসে থাকতে চাই না। ইতোমধ্যে ঢাকায় এসেছেন ফিফা ডেভেলপমেন্ট অফিসার সাজি প্রভাকারণ। তার সঙ্গে আমরা আগামীকাল (আজ) বসবো নতুন  ডেভলপমেন্ট প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করতে।’ সোহাগ যোগ করেন, ‘এখন থেকে নানা ইকুইপম্যান্ট (বল,গিয়ার্স, বুট) কিনতে টাকা চাইতে পারবে বাংলাদেশ। ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ের মধ্যে রয়েছে জিমনেশিয়াম, বেশি আর্টেফিশিয়াল টার্ফ করা। আরেকটি ক্যাটাগরি হচ্ছে টেইলর  মেইড। এটি হচ্ছে ফিফা প্রতিটি দেশে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করবে। তারা জানতে চাইবে আগামী তিন বা চার বছরের জন্য অবজেকটিভ কী? আমরা আমাদের অবজেকটিভ বললে হবে না। ফিফা আসবে, আমাদের সঙ্গে বসবে, সব কিছু খতিয়ে দেখবে। এরপর তারা ঠিক করবে  যে অবজেকটিভ ঠিক আছে কিনা। যে চার বছরের জন্য চুক্তি হবে ওই সময়ে যেসব কাজ দেখিয়ে টাকা নেয়া হবে সেগুলো ফিফা নিয়মিত ফলো-আপ করবে। সব মিলিয়ে সাড়ে বারো লাখ ডলার আসবে। যদি সদস্য দেশগুলো এ্যাকটিভ হয় তাহলে এই টাকা নেয়া তাদের জন্য  কোন ব্যাপারই না।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তিনগুণ বাড়লো ফিফা অনুদান!
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ