পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রবর্তিত শাসন ব্যবস্থা (বাকশাল) কার্যকর থাকলে নির্বাচন নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকতো না দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাকশাল ছিলো সর্বোত্তম পন্থা।
‘‘আমি বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধু যে পদ্ধতিটা (বাকশাল) করে গিয়েছিলেন সেটা যদি কার্যকর করতে পারতেন তাহলে এসব (নির্বাচনী অস্বচ্ছতা) প্রশ্ন আর উঠতো না।’’
সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে বাংলাদেশ তার প্রবৃদ্ধির ৭ ভাগে উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছিল। তিনি জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন, আজ নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা উঠে; আর আমাদের বিরোধী দল বাকশাল বাকশাল করে গালি দেয়, তারা যদি একবার চিন্তা করতেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন একটা বিপ্লবের পর যেকোন দেশে একটা বিবর্তন দেখা দেয়। সেই বিবর্তনের ফলে কিছু মানুষ হঠাৎ ধনী শ্রেণীতে পরিণত হয় আবার ভালো উচ্চবিত্ত মানুষ তাদের ধন-সম্পদ ধরে রাখতে পারে না। কাজেই এ ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক ধারা সুনিশ্চিত করা এবং ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা একান্তভাবে দরকার। সব বিবেচনায় বঙ্গবন্ধু সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
‘‘পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ধারা ছিল না, আইয়ুব খান ক্ষমতা দখল করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা দিল, সে গণতন্ত্রের ফর্মুলা দিল বেসিক ডেমোক্রেসি! মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হলো। আর বঙ্গবন্ধু চাইলেন মানুষ যেন তার ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকে। যে অধিকার তিনি দিয়েছিলেন ৭২ এর সংবিধানে। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে বঙ্গবন্ধু এমন একটি পদ্ধতি এনেছিলেন যেখানে কেউ অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে পারবে না। সরকারের পক্ষ থেকে যে যে প্রার্থী হবে সকলের নাম একটি পোস্টারে দিয়ে প্রচার করা হবে। যে ব্যক্তি যত বেশি জনগণের কাছে যেতে পারবে, জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে সেই শুধু নির্বাচিত হবে।’’
বাকশালের স্বচ্ছতা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন: এ পদ্ধতিতে দুটি নির্বাচন হয়। সে নির্বাচনের একটি হয়েছিল কিশোরগঞ্জে, সেখানে সৈয়দ নজরুল ইসলামের ভাই দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু জনগণ ভোট দিয়েছিল একজন স্কুল মাস্টারকে। আর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় পটুয়াখালীতে।
এ পদ্ধতি চালু নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে শেখ হাসিনা প্রশ্ন করেছিলেন জানিয়ে আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আমি তাকে (বঙ্গবন্ধু) জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনি এ পদ্ধতি করলেন কেন? তিনি আমাকে বলেছিলেন, আমাদের দেশে একটি বিপ্লব হয়েছে। এখানে গেরিলা যুদ্ধ হয়েছে; একটা বিপ্লবের পর কিছু মানুষের হাতে অর্থ চলে আসে। আমি চেয়েছি নির্বাচন যেন অর্থ এবং লাঠি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না হয়। জনগণের কাছে যেন ভোটের অধিকারটা থাকে, প্রতিনিধি নির্বাচন করার অধিকারটা থাকে। তা নিশ্চিত করবার জন্যই আমি এই পদ্ধতিটা শুরু করেছি।
বাকশাল বাংলাদেশের জন্য উপযোগি ছিলো দাবি করে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন: এটা বাংলাদেশের জন্য যে কতটা উপযোগী ছিল একসময় বাংলাদেশের মানুষ তা ধীরে ধীরে উপলব্ধি করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বঙ্গবন্ধু যে পদ্ধতিটা করে গিয়েছিলেন সেটা যদি কার্যকর করতে পারতেন তাহলে এসব প্রশ্ন (নির্বাচনে অস্বচ্ছ্বতা) আর আসতো না। সব থেকে জনদরদি যে ব্যক্তিটি জনসেবা যে করে সেই নির্বাচিত হয়ে আসতে পারতো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।