Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মডেলে ত্রুটির কারণে বোয়িং বিমান দু’টি ধ্বংস হয়েছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৯, ৭:২০ পিএম

মাত্র ৬ মাসের মধ্যে বোয়িংয়ের হুবহু একই মডেলের দুটি বিমান ধ্বংসের ঘটনার ফলে বিশ্বজুড়ে একের পর এক দেশ একে একে সেই মডেলের উড়াল বন্ধ করে দেয়। প্রথমে ইন্দোনেশিয়া, তারপর ইথিওপিয়ায় বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স এইটএস মডলের বিমান ধ্বংসের দুটি ঘটনার মধ্যে অস্বাভাবিক মিল পাওয়া গেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। ফ্রান্সে ইথিওপিয়ার বিমানটির  ব্লাক বক্স বিশ্লেষণের কাজের শুরুতেই বিশেষজ্ঞরা এই তথ্য জানতে পেরেছেন বলে ইথিওপিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে আরো তথ্য পাবার আশা করছে কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, ৩০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে। খবর রয়টার্স, এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসামরিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে কোনো একটি বিমানের মডেলকে ঘিরে এই মাত্রার অনিশ্চয়তা এর আগে কখনো দেখা যায়নি। গত বছরের অক্টোবর মাসে ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ার সংস্থার একটি বিমান রওয়ানা হবার কিছুক্ষণ পরেই ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে ১৮৯ জন নিহত হন। এরপর ১০ই মার্চ ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানও প্রায় একই রকমভাবে ধ্বংস হলে ১৫৭ জন যাত্রী ও বিমানকর্মীর মৃত্যু হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ব্লাক বক্স থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণের কাজ চলছে। তবে মার্কিন কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসেনি। এদিকে, বোয়িং কোম্পানির এই মডেলের মধ্যে বেশ কিছু মারাত্মক ত্রুটি পাওয়া গেছে বলে দাবি করছে সিয়াটেল টাইমস সংবাদপত্র। ফেডারেল বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ওয়াশিংটনের এক আদালতের গ্র্যান্ড জুরি এই বিমান তৈরির সঙ্গে যুক্ত কমপক্ষে এক জন ব্যক্তিকে আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দিয়েছে।

বোয়িং কোম্পানি এই মডেলের বিমানগুলিতে সফটওয়্যার আপগ্রেড এবং বিমানচালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে চেয়েছে। কিন্তু মার্কিন কর্তৃপক্ষ বিমানের ডিজাইনে পরিবর্তনের নির্দেশ দেবে বলে ইঙ্গিত করেছে। ফ্রান্সের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত এজেন্সি বিইএ জানিয়েছে, ইথিওপিয়ার বিমানের ককপিট ভয়েস রেকর্ডার থেকে তথ্য ডাউনলোডের কাজ শেষ হয়েছে। তবে সেই অডিও ফাইল এখনো শোনা হয়নি। ইউরোপীয় তদন্তকারীদের হাতে তা তুলে দেওয়া হয়েছে।

অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, এয়ারবাস ও বোয়িং কোম্পানির মধ্যে রেষারেষি এই সংকটের জন্য দায়ী। এয়ারবাস কোম্পানির হালকা ও জ্বালানি সাশ্রয়ী এ৩২০ নিও মডেলের বিকল্প গড়ে তুলতে বোয়িং তড়িঘড়ি করে প্রচলিত বোয়িং ৭৩৭ মডেলটিতে রদবদল ঘটিয়ে ম্যাক্স মডেল গড়ে তুলেছিল। কিন্তু ইঞ্জিন, ডিজাইন ও অন্যান্য কিছু ক্ষেত্রে ত্রুটি সংশোধন করা সম্ভব হয়নি বলে মনে করা হচ্ছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বোয়িং বিমান
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ