Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গাজীপুরে কাউন্সিলর সেলিমের বিরুদ্ধে এলাকাবাসির মানববন্ধন

মাদক ব্যবসা ও জমি দখলের অভিযোগ

গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৯, ৬:৪০ পিএম

মাদক ব্যবসা, অন্যের জমি দখলসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেলিম রহমানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। সোমবার দুপুরে স্থানীয় পারিজাত এলাকায় ওই মানববন্ধনে বাংলাদেশ আওয়ামী মোটরচালক লীগের কোনাবাড়ি থানা কমিটির সভাপতি মো. মঞ্জুর আলম, সহ-সভাপতি মুন্না মিয়া, স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ইদ্রিস আলী, লিটন মিয়া, কাদের মিয়া, হাফেজ মো. আব্দুর রহমানসহ এলাকার কয়েকশ মানুষ অংশ নেন। 

এসময় মঞ্জুর আলম জানান, সাবেক কোনাবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ও বর্তমানে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নব্য আওয়ামী লীগের কর্মী মো. সেলিম রহমান কক্সবাজারের কলাতলী এলাকায় হোটেল হিল টাওয়ারে ফ্ল্যাট কিনে সেখান থেকে তার লোকজন দিয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছেন। কক্সবাজারের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির সঙ্গেও রয়েছে তার গভীর সখ্যতা। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে তাদের অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ভাইরাল হওয়া ছবিসহ একটি প্রতিবেদন গুরুত্বসহকারে ছাঁপা হয়। এ ছাড়া তার সহযোগী রেজাউল মাষ্টারের মাদক সেবনের ছবি বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুক ভাইরাল হয়।
স্থানীয় দেওলিয়া বাড়ি এলাকার বাসিন্দা লিটন মিয়া জানান, সেলিম মিয়ার সঙ্গী রুবেল মিয়া তার জমি দখল করে নেয়। পরে তা উদ্ধার করে দেয়ার কথা বলে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় সেলিম রহমান। শুধু তাই নয় পরে ওই জমি উদ্ধার না করে কাউন্সিলর নিজেই তা দখল করে নেন এবং সেখানে থাকা ঘরবাড়ির ভাড়া আদায় করে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার ক্রয়কৃত সম্পত্তি, প্রতিবেশি সিরাজউদ্দিন, ইউনুছ আলীর জমিও দখল করে নিয়েছে সেলিম ও তার বাহিনীর সদস্যরা। সেলিমের ভয়ে তারা মামলা করতেও সাহস পাচ্ছেন না।
স্থানিয় আওয়ামী মোটরচালক লীগের সভাপতি মঞ্জুর আলম আরো জানান, গেল নির্বাচনে তার সংগঠণের লোকজন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেলিম রহমানের পক্ষে কাজ না করায় তার হুকুমে গত বছরের ৫জুলাই মটর শ্রমিক লীগের স্থানীয় কার্যালয় ভাংচুর ও আমার লোকজনের উপর হামলা চালায়। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার ভাই রকিব হোসেনসহ কয়েকজন রক্তাক্ত জখম হয়। এ ব্যাপারে জয়দেবপুর থানায় তখন মামলা করা হয়। একইভাবে ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর মটরচালক লীগের কোনাবাড়ি নতুন বাজার এলাকার অফিস দখলের লক্ষ্যে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্রেশস্ত্রে হামালা চালায়। এতে আমিসহ কয়েকজন আহত হই। এ ব্যাপারেও জয়দেবপুর থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলা দায়েরের পর থেকে ফোনে সেলিমের লোকজন আমাকে খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে। এসব বিষয়ে পরিত্রাণ পেতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও আবেদন দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে কাউন্সিলর সেলিম রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ