পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটাররাও আগ্রহী উপজেলা পর্যায়ের এ নির্বাচন নিয়ে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাড়া বড় রাজনৈতিকদলগুলো এই নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় ভোটে তেমন সাড়া মেলেনি। আর ভোট উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় ঘোষণা করা হয়েছে সাধারণ ছুটি।
আজ সোমবার সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১১৬ উপজেলায় বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ধাপের এ নির্বচানে চেয়ারম্যান পদে ২৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৩৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৪৮জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪শ’ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১১৬ উপজেলায় ৭ হাজার ৩৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। এতে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৯ হাজার ৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য দায়িত্বে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পার্বত্য উপজেলায় সেনাবাহিনীও কাজ করেছে।
পক্ষপাতের অভিযোগে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম মুসা এবং ফুলছুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়াও চারটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে বিরত রাখা হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে ১২৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণের তফসিল ঘোষণা করেছিল
নির্বাচন কমিশন। এগুলোর মধ্যে ৬ উপজেলায় প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। গোপালগঞ্জের পাঁচটি উপজেলার ভোট ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপে ও দিনাজপুর সদরের ভোট চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। আর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়েছে।