বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অশান্ত মৌসুম শুরু হলেও দেশের উপক‚লীয় এলাকায় নিরাপদ যাত্রী পরিবহনে নৌযানের দেখা নেই। সরকারি অর্থে বিআইডবিøউটিসি’র জন্য বিভিন্ন সময়ে সংগ্রহ করা ১৪টি সী-ট্রাকের মাত্র ৩টি ইজারাদারের মাধ্যমে চলাচল করছে। ১১টিই অলস পড়ে আছে। যার বেশিরভাগই বছরের পর বছর ধরে বিকল।
অথচ বিশ্ব ব্যাংকের সুপারিশে সরকার দেশের উপক‚লীয় নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ‘গণ দায়বদ্ধ পরিবহনখাত’ বলে ঘোষণা করেছে। এমনকি উপক‚লীয় নৌ-পথে নিরাপদ যাত্রী পরিবহন নিশ্চিতকরণের লক্ষেই সরকার প্রতিবছর সংস্থাটিকে ৫০ লাখ টাকার ‘নগদ ভর্তুকিও প্রদান করে আসছে। কিন্তু ইজারাদারের ইচ্ছার বাইরে এখন আর উপক‚লের কোন রুটে নিরাপদ সী-ট্রাক সার্ভিস পরিচালিত হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তানুযায়ী প্রতিবছর ১৬ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সময়কালকে ‘অশান্ত মৌসুম’ ঘোষণা করে ভোলার ইলিশা ঘাট-এর দক্ষিণে ভাটি মেঘনা অংশসহ গোটা উপক‚লীয় এলাকাকে ‘ডেঞ্জার জোন’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসময়কালে ডেঞ্জার জোনে ‘নৌ অধিদপ্তর অনুমোদিত উপক‚লীয় নৌ-পথ অতিক্রমকারী’ নৌযান ছাড়া অন্য কোন যাত্রীবাহী নৌযানের চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু বেসরকারী খাতে উপক‚লীয় এলাকায় বছর জুড়ে চলাচল উপযোগী যাত্রীবাহী নৌযানের সংখ্যা খুবই নগণ্য।
বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই উপক‚লবাসীর নিরাপদ নৌ-যোগাযোগ নিশ্চিত করা লক্ষ্যে সরকার ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিআইডবিøউটিসি’কে ১২টি নতুন সী-ট্রাক সংগ্রহে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। এছাড়াও সংস্থাটি তার নিজস্ব অর্থে ‘এসটি রূপালী’ নামের অপর একটি সীÑট্রাকের পুনর্বাসন কাজও সম্পন্ন করে। উপরন্তু ‘এসটি মিতালী’ নামের আরো একটি পুরনো সী-ট্রাক সংস্থাটির হাতে রয়েছে।
কিন্তু এসব সী-ট্রাকের প্রায় সবগুলোই দীর্ঘদিন বন্ধ। শুধুমাত্র ভোলার ইলিশা থেকে ল²ীপুরের মজুচৌধুরীর হাট পর্যন্ত ‘এসটি খিজিরÑ৬’ ও ‘এসটি খিজির-৭’ নামের দুটি নৌযান এবং ‘এসটি শেখ ফজলুল হক মনি’ নোয়াখালীর হাতিয়াÑবয়ারচর রুটে ইজারাদারের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
এছাড়া বরিশাল থেকে ল²ীপুরের মজু চৌধুরীরহাট রুটে সী-ট্রাক সার্ভিস চালু করার বছর কয়েকের মধ্যেই বিআইডবিøউটিসি তা ইজারা প্রদান করায় জটিলতা সৃষ্টি হয়। ইজারাদার তার খেয়াল খুশিমত এ রুটের পরিবর্তে সী-ট্রাকটি অন্য রুটে পরিচালনা করে।
বছরখানেক ধরে সে সী-ট্রাকটিও মেরামতের নামে সংস্থাটির ডক ইয়ার্ডে রয়েছে। অপরদিকে বরিশাল থেকে ল²ীপুরের ঐ রুটে বেসরকারী দুটি নৌযান চালাচলের অনুমতি থাকলেও তা বিঘিœত হচ্ছে নৌ-পথে নাব্য সঙ্কট।
এসব বিষয়ে গত শনিবার বিআইডবিøউটিএ’র দায়িত্বশীল সূত্রে বলা হয়েছে, ‘অশান্ত মৌসুমে নৌ অধিদপ্তরের অনুমোদনবিহীন কোন নৌযানের উপক‚লের ডেঞ্জার জোনে চলাচলের সুযোগ নেই’। সে ক্ষেত্রে বিআইডবিøউটিসি’র সী-ট্রাক চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন টিএ’র দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।