গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকায় কম দামে সৌদি আরবের মুদ্রা রিয়াল বিক্রির লোভ দেখিয়ে বিদেশি এই মুদ্রার বান্ডলে সাদা কাগজ ঢুকিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এরা হলেন- আবু শেখ, শাহিন মাতব্বর, মহসিন মিয়া, আবুল বাশার, কামরুল শেখ, ইশারত মোল্লা ও আব্দুর রহমান মোল্লা।
র্যাব সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, এরা সবাই একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। বৃহস্পতিবার রাতে ভাটারা থেকে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫০০ রিয়াল, ৩ হাজার ৮২২ টাকা এবং ১০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, “বিদেশি মুদ্রার লোভ দেখিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল সংঘবদ্ধ এই প্রতারক চক্র। অনেকে কম দামে রিয়াল পেয়ে যাচাই-বাছাই না করেই সেগুলো কিনে প্রতারণার শিকার হত।”
তাদের প্রতারণার ধরন ব্যাখ্যা করে এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, “মানুষকে বোকা বানাতে এ চক্রটি বলত, বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিরা খুশি হয়ে তাদের অনেক রিয়াল উপহার দিয়েছেন।”
আবার ‘টার্গেট’ করা মানুষকে ‘ইজতেমায় সৌদি রিয়াল কুড়িয়ে পেয়েছে’ বলে কীভাবে এগুলো টাকায় ভাঙ্গানো যায়, তা জানতে চেয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ শুরু করতেন তারা।
কম দামে রিয়াল কিনতে আগ্রহীদের তাদের নির্দিষ্ট ঠিকানায় আসতে বলতেন তারা।
“রিয়াল বিক্রির আলাপের ফাঁকে তারা আসল টাকার মধ্যে সাদা কাগজ দিয়ে বান্ডল তৈরি করে বিক্রি করত,” বলেন র্যাব-১ এর অধিনায়ক সারোয়ার বিন কাশেম।
শুক্রবার কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “লেনদেন এতটাই কম সময়ে ও সূক্ষ্ণভাবে করা হয় যে ভিকটিম রিয়াল গণনা করার কিংবা তাদের চতুরতা ধরার সুযোগ পায় না। আটক শাহিন মাতব্বর রিয়ালের সঙ্গে কাগজ মেলানোর কাজটি করত।
চক্রটি হজ মৌসুমে হাজী ক্যাম্পসহ আশপাশের এলাকায় এভাবে প্রতারণা করে আসছিল বলে জানান তিনি।
এই ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।