মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে যখন গোলাগুলি চলছে, বাংলাদেশ দলের বাস তখন মসজিদের ৫০ গজের মতো কাছে। গুলিবিদ্ধ, রক্তাক্ত মানুষদের ছুটে বেরিয়ে আসতে দেখেছে দল। দলীয় ম্যানেজার খালেদ মাসুদ জানিয়েছেন, আর ৩-৪ মিনিট আগে পৌঁছালে মসজিদের ভেতরই থাকতেন তারা।
হামলার পর ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে বাংলাদেশ-নিউ জিল্যান্ড সিরিজের শেষ টেস্ট। ফ্লাইট সূচি ও টিকিট মিলিয়ে যত দ্রুত সম্ভব দল দেশে ফিরবে, নিশ্চিত করেছেন ম্যানেজার।
ঘটনার পর মাঠ হয়ে নিরাপদে হোটেলে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। পরে ম্যানেজার খালেদ মাসুদ জানালেন, হামলার শিকার হওয়ার কতটা কাছাকাছি তারা ছিলেন।
“আমরা খুবই সৌভাগ্যবান, আমরা বাসে ১৭ জনের মতো ছিলাম। দুইজন ক্রিকেটার শুধু হোটেলে ছিল, বাকি সবাই নামাজ পড়তে যাচ্ছিলাম। আমরা খুবই কাছে ছিলাম। মসজিদ দেখতে পাচ্ছিলাম কাছ থেকে, খুব বেশি হলে ৫০ গজের মতো দূরে ছিলাম। খুবই ভাগ্য ভালো যে, ৩-৪ মিনিট আগে চলে এলেও হয়তো মসজিদের ভেতরে থাকতাম। বিশাল কিছু, ভয়ানক ঘটনা ঘটে যেতে পারত।”
“শুকরিয়া আদায় করব যে আমরা ওই জায়গায় ছিলাম না। আমরা ভিডিওর মতো দেখছিলাম, সিনেমার যেমন দেখা যায়, বাসের ভেতর থেকে দেখছিলাম বেশ কিছু মানুষ রক্তাক্ত অবস্থায় বেরিয়ে আসছে। প্রায় ৮-১০ মিনিট আমরা বাসের ভেতরই ছিলাম। মাথা নিচু করে ছিল সবাই, যাতে কোনো কারণে গুলি আসে।”
ঘটনার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ক্রিকেটাররা। যেসব ছবি সংবাদমাধ্যমে আসছে, দেখা যাচ্ছে ক্রিকেটারদের চেহারায় আতঙ্কের ছাপ। ম্যানেজার জানাচ্ছেন, ক্রিকেটারদের মানসিকতায় গভীর ছাপ ফেলেছেন এই ঘটনা।
“এটা খুবই স্বাভাবিক, সামনে যখন এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে, সরাসরি দেখছেন রক্তাক্ত মানুষ বেরিয়ে আছে, এসব দেখে যে কারও ভেঙে পড়ার কথা। নিজের গায়েও লাগবে কিনা, কেউ নিশ্চিত ছিল না ওই মুহূর্তে। ক্রিকেটাররা বাসের ভেতর অনেকেই কান্নাকাটি করেছে, কি করলে বেরিয়ে আসতে পারি, এসব কথা হয়েছে। খুবই কঠিন ছিল। এসব তো মানসিকতার ওপর প্রভাব ফেলে। ম্যানেজার হিসেবে চেষ্টা করেছি সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরিয়ে আনতে।”
ম্যানেজার জানালেন, যতটা দ্রুত সম্ভব, দেশে ফেরার ব্যবস্থা করছেন তারা।
“এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি (ফেরার সময়ের), ফ্লাইট সূচির ব্যাপার আছে, টিকিটের ব্যাপার আছে। এতগুলি টিকিট একসঙ্গে পাওয়া কঠিন, ১৯ জনের মতো যাব ঢাকায়। সাপোর্ট স্টাফদের কেউ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, কেউ দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবে। ওরা হয়তো টিকিট পেয়ে যাবে দ্রুত। আমাদের এই ১৯ জনের হয়তো এক ফ্লাইটে সম্ভব না হলেও ভাগ ভাগ করে চাইছি, যত দ্রুত সম্ভব চলে যেতে।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।