Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাওয়ের সাংস্কৃতিক বিপ্লব ছিল সম্পূর্ণ ভ্রান্ত তত্ত্ব

প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : সাংস্কৃতিক বিপ্লব নিয়ে অবশেষে নীরবতা ভেঙেছে চীন। দেশে ও বিদেশে নানামুখী গুঞ্জনের মুখে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ৫০তম বার্ষিকীর একদিন পর কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র ইংরেজি দৈনিক পিপলস ডেইলিতে ছোট্ট একটি মন্তব্য ছাপা হয়েছে। এই মন্তব্যের মাধ্যমেই নীরবতা ভাঙে চীনা সরকার। গত সোমবার ছাপা হওয়া ওই মন্তব্যে বলা হয়, সাংস্কৃতিক ওই বিপ্লব ছিল বড় ধরনের ভুল। এত আরো বলা হয়, সাংস্কৃতিক ওই বিপ্লব চীনা সমাজ ব্যবস্থায় মারাত্মক ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। পিপলস ডেইলিতে বলা হয়েছে, ইতিহাসের অভিজ্ঞতায় এরই মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে, সাংস্কৃতিক ওই বিপ্লব ছিল সম্পূর্ণ ভ্রান্ত এক তত্ত্ব। সেটি বিপ্লব ছিল না, ভবিষ্যতেও কোনো বিবেচনায় বিপ্লব হিসেবে স্বীকৃতি পাবে না। কিংবা সামাজিক অগ্রগতিতেও সাংস্কৃতিক এ বিপ্লব ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। চীনা সরকার সাম্প্রতিক সময়ে সরব নয় সাংস্কৃতিক এই বিপ্লব নিয়ে। কয়েক দশক আগেই কমিউনিস্ট পার্টি সাংস্কৃতিক এই বিপ্লবের তত্ত্ব ঝেড়ে ফেলে দিয়ে বলেছে, অতীতমুখিতার সঙ্গে পার্টি আর নেই। সেই থেকে উপেক্ষিত বিংশ শতাব্দীর আলোড়িত এই বিপ্লব। দেশটির ইতিহাসের বিশেষ এই পর্বটির ৫০তম বার্ষিকীতে গত সোমবার চীনের প্রধান রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোতে ঐতিহাসিক ওই পর্বটি নিয়ে কিছু উল্লেখ ছিল না। এসব গণমাধ্যমগুলোতে শুধু দক্ষিণ চীন সাগর সম্পর্কিত চলমান ঘটনা এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে সংবাদ ও সম্পাদকীয় প্রকাশ করে। কিন্তু চীন কেন এই দিবসে নীরব থাকল, তাই নিয়ে বিশ্বে গুঞ্জন শুরু হয়। তারই উত্তর দেয়া হয়েছে এদিন। উল্লেখ্য, বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকের মাঝামাঝি ওই সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ডাক দেন কমিউনিস্ট চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সে তুং। তার ডাকে ১৯৬৬ সালের ১৬ মে এই সাংস্কৃতিক বিপ্লব শুরু হয়। চলে টানা এক দশক। রাজনৈতিক এবং অধিকার প্রতিষ্ঠায় সাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্য থেকে সাংস্কৃতিক ওই বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন মাও। তবে সমালোচকরা বলেন, এই বিপ্লবে মাওয়ের চিন্তাধারার বিরোধীদের ক্ষমতা খর্ব করার পাশাপাশি চীনা তরুণদের সমাজকে বিশুদ্ধ করার দায়িত্ব দেয়া হয়। এতে ১৯৭৬ সালে মাওয়ের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চীনে অস্থিরতা, রক্তপাত ও শ্রেণিগত লড়াই চলতে থাকে। এই অধ্যায় শেষ হওয়ার পর এর ধারাবাহিক উত্তরাধিকারকে সামলানো নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে চীন। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, সিএনএন, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাওয়ের সাংস্কৃতিক বিপ্লব ছিল সম্পূর্ণ ভ্রান্ত তত্ত্ব
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ