বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আগামী ১৮ মার্চ বগুড়ার ১২ টি উপজেলায় অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা নির্বাচন। তবে নির্বাচন একেবারে দোরগোড়ায় এসে পড়লেও কোথাও কোন স্বতঃস্ফূর্ত নির্বাচনী তৎপরতা চোখে পড়ছেনা। মূলত বিএনপি ও জামায়াতের মত বড় দলগুলোর অংশগ্রহণ না থাকার জন্যই নির্বাচনের মাঠে এই নিষ্ক্রিয়তা বলে মত প্রকাশ করেছেন অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও ভোটাররা।
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় উপজেলা চেয়ারম্যানপদে প্রতিদ্বন্দীতাকারি প্রার্থী ও বগুড়ার সিনিয়র সাংবাদিক জিয়া শাহীন বলেছেন , তিনি নির্বাচনের মাঠ পর্যায়ে ভোট চাইতে গেলে প্রায়ই তাকে ভোটারদের কাছে শুনতে হয়েছে , ভোট কেন্দ্রে কি আমরা যেতে পারবো , আবার গেলেও কি নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবো ?
বগুড়া সদরের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত সদর উপজেলা সভাপতি মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল বলেছেন , প্রশাসন ও পুলিশ যদি ন্যুনতমও নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করে তাহলে বগুড়া সদরের ভোটারের উপস্থিতি বাড়বে । আর ভোটার উপস্থিতি বাড়ার অর্থই হল এই উপজেলায় উপজেলা চেয়ারম্যান , ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপি থেকে অব্যাহতি নিয়ে বা বহিষ্কৃত হয়ে যারা নির্বাচন করছেন তাদের বিজয় নিশ্চিত হবে। তিনি ইনকিলাবকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন , সুস্থ রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে বিএনপি যদি বগুড়ার ১২ উপজেলাতেই বহিষ্কৃত বা
অব্যাহতি প্রাপ্ত নেতা কর্মিদের নিরবে সমর্থন দিয়ে যেত তাহলে বগুড়ার ১২ উপজেলাতেই বিএনপির ভবিষ্যৎ সাংগঠনিক পরিস্থিতির জন্য হত মঙ্গলজনক ।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ভোট করছেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিউটি বেগম। তিনি অভিযোগ করেছেন , আওয়ামীলীগ প্রার্থীর চাইতেও তাকে বেশি ডিসটার্ব করছে বিএনপির কিছু নেতা । বিএনপি নেতাদের ভয় যদি আমি চেয়ারম্যান পদে জিতে যাই তাহলে অনেক ঈর্ষাকাতর সিনিয়র নেতাদেরই সাংগঠনিক অদক্ষতা ধরা পড়ে যাবে।
এদিকে উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে বগুড়ায় আওয়ামীলীগ বিএনপি ও জামায়াত পৃথক পৃথক রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে । বগুড়ায় রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে নিজেরা ভোট বর্জন করে সব জায়গায় তুলনামুলক দুর্বল প্রাথীদের তুলে আনার কৌশল নিয়েছে। জামায়াতের একটি সুত্র জানিয়েছে , ভবিষ্যতের নির্বাচনে যেখানে সবার অংশগ্রহন থাকবে সেই নির্বাচনে যেন জামায়াত সুবিধা করতে পারে সেটাই তাদের লক্ষ্য ।
অন্যদিকে বিএনপির লক্ষ্য হল কেন্দ্রে কেন্দ্রে যেন ভোটারদের উপস্থিতি না থাকে তা’ নিশ্চিত করা । তবে এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিএনপির একশ্রেনীর নেতারা দলে নিজের কর্তৃত্ব পাকা করতে প্রতিদ্বন্দিদের বহিষ্কারের মাধ্যমে সরিয়ে দেওয়াকেই বড় করে দেখছে । এক শ্রেনীর বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যেই আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যেই কাজ করতে দেখা যাচ্ছে । যা ’ দলের ভেতরেই তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে ।
অন্যদিকে সবচেয়ে অনুকুল পরিবেশে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন ইনজয় করছে আওয়ামীলীগ । ইতোমধ্যেই বগুড়ার শেরপুর ও আদমদীঘী উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয় পেয়েছে আওয়ামীলীগ । তাদের আশা ভোটার উপস্থিতি কম হলে সবগুলো উপজেলাতেই জিতে যাবে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা। বগুড়া বিএনপির রাজনৈতিক পদক্ষেপগুলো মুলত সরাসরিই আওয়ামীলীগের পক্ষেই যাচ্ছে বলে মনে করছে দলটির নেতা কর্মি ও প্রার্থীরা ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।