পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা অত্যাধুনিক নতুন রেল কোচের দ্বিতীয় চালান আসছে আগামী ২৪ মার্চ। এবার এক সাথে ১৭টি কোচ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। জুন মাসের মধ্যেই মিটার গেজের জন্য আমদানী করা আরও দুশ’ কোচ দেশে এসে পৌঁছাবে। এরপর সেগুলো চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হবে। জুন মাসে ঈদ যাত্রায় বিভিন্ন ট্রেনে যুক্ত হবে ১৪০ কিলোমিটার গতি চলতে সক্ষম নতুন এসব কোচ। কোন কোন ট্রেনে নতুন এসব কোচ যুক্ত হবে তা এখনও নির্ধারণ হয়নি। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, ব্রডগেজের সবগুলো কোচ আসার পর সেগুলো কোন কোন ট্রেনে যুক্ত করা হবে তার একটা প্রস্তাব পাঠানো হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। উনি অনুমোদন দেয়ার পর কোচগুলো ট্রেনে যুক্ত হবে। রেলমন্ত্রী বলেন, আগামী ৮ জুন পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদযাত্রায় ট্রেনে নতুন কোচ যুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, ব্রডগেজের কোচ আসা শেষ হলে ক্রমান্বয়ে মিটার গেজের আরও দুইশ কোচ আসবে।
এদিকে, নতুন কোচগুলো ১৪০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তাছাড়া বিশেষ বিশেষ কারণে নতুন কোচগুলো এখন আলোচনায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নতুন কোচের অত্যাধুনিক টয়লেট, এসি কেবিন এবং রান্নাঘর।
গত মাসে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানী করা পিটি ইনকার তৈরী ১৫টি নতুন কোচ বাংলাদেশে আসে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কোচগুলো সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় নেয়া হয়। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কোচগুলোর যান্ত্রিক নিরীক্ষণ শুরু হয়। এরপর নিবিড় পর্যবেক্ষণ শেষে সেগুলো ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়। রেলওয়ে সূত্র জানায়, কোচগুলো যান্ত্রিক নিরীক্ষণের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে ১১ সদস্যের বিশেষজ্ঞ টিম এসেছে। তাদের তত্ত্বাবধানে চলছে কোচগুলোর পর্যবেক্ষণ। ইতোমধ্যে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ইনডোর এসডিপিতে নতুন কোচগুলো পরিদর্শন করেছেন।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানী করা নতুন কোচগুলোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, এগুলো ১৪০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। এ ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম কোচগুলোতে সংযোজন করা হয়েছে বায়োটয়লেট। রেলওয়ে প্রকৌশলীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে ট্রেনগুলোতে যে টয়লেট ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলোর চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন পদ্ধতি হচ্ছে বায়োটয়লেট। এটি এক ধরনের বিশেষ ব্যবস্থা যাতে টয়লেটের বর্জ্য রেল ট্রাকে পড়বে না। কোচের আন্ডারফ্রেমে একটি ট্যাংক আছে যাকে বায়োডাইজেশন ট্যাংক বলে। টয়লেটের কমোট থেকে বর্জ্য ঐ ট্যাংকে জমা হবে। জমাকৃত বর্জ্যকে অ্যানারোবিক ব্যাকটেরিয়া ডিকম্পোজ করে রিসাইকেলিং পানি এবং মিথেন গ্যাসে পরিণত করবে। ট্যাংকের একটি নল দিয়ে পানি বের হয় এবং আরেকটি নল দিয়ে মিথেন গ্যাস বের হয়। এভাবে বায়ো টয়লেট কাজ করে থাকে এবং পরিবেশ দূষণ হতে রক্ষা করে।
তবে এক্ষেত্রে যাত্রীদের বায়োট য়লেট ব্যবহার করার জন্য কয়েকটি নিয়ম অবশ্যই মানতে হবে। সেগুলো হলো, কোনোভাবেই টয়লেটে পলিথিন, টিস্যু, বোতল ইত্যাদি ফেলানো যাবে না। এগুলো ট্যাংকে প্রবেশ করলে ব্যাকটেরিয়া বর্জ্যকে ডিকম্পোজ করতে পারবে না। এতে সিস্টেমটিও কাজ করবে না।
জানা গেছে, কোচগুলোর এসি কেবিন খুবই অত্যাধুনিক। ডাবল এবং সিঙ্গেল কেবিন সুন্দরভাবে সাজানো। দুই জানালার মাঝখানে একটি ছোট টেবিল যার নিচে রয়েছে একটি স্টিলের ডাস্টবিন। টেবিলের উপরে লাইট-ফ্যানের সুইচ। আছে মোবাইল ফোন চার্জার পয়েন্ট। কেবিন ছাড়া শোভন শ্রেণির চেয়ারও আরামদায়ক। নতুন কোচগুলোতে এবারই প্রথম যুক্ত হচ্ছে ডিজিটাল নেমপ্লেট।
এদিকে, কয়েকদিন আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন কোচ যুক্ত হচ্ছে ঢাকা-খুলনা রেলপথের চিত্রা এক্সপ্রেসে। ওই প্রতিবেদনে নতুন কোচের ট্রায়াল রানের সময় কোচের গায়ে লেখা ছিল চিত্রা এক্সপ্রেস। তাতেই অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছে। রেলমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেয়ার পর সিদ্ধান্ত হবে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ব্রডগেজের জন্য ৫০টি অত্যাধুনিক কোচ আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ২১৩ কোটি টাকা। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।