পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে আরও ৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে ১৬টি লাশের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এখনও দু’টি লাশের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সংগৃহীত ডিএনএ নমুনায় ওই দু’জনের ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া যায়নি। ৫জনের মধ্যে সংস্কৃৃতিকর্মী রেহনুমা তাবাসসুম দোলার লাশও রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ে অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান। অন্যদিকে গতকাল সন্ধ্যায় নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে।
সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন, শনাক্ত হওয়া পাঁচজন হলেন-হাজী ইসমাইল, ফয়সাল সারোওয়ার, রেহনুমা তাবাসসুম দোলা, মোস্তফা ও জাফর।
সংবাদ সম্মেলনে হিমায়েত হোসেন সাংবাদিকদের আরো বলেন, এখনও দু’টি লাশ ও তিনটি পরিবারের ডিএনএ নমুনা আমাদের কাছে রয়েছে। তবে দুই লাশের সঙ্গে এই ৩ পরিবারের কারও ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া যায়নি। লাশগুলো মর্গে থাকবে। কেউ লাশগুলোর দাবি করলে তার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে মেলানো হবে। এ ধরনের লাশের শনাক্তের কাজটি দুরূহ ও সময় সাপেক্ষ ছিল। ঘটনার পরপর দু’টি ক্রাইম সিন ইউনিট সেখানে পাঠানো হয় এবং তারা আলামত সংগ্রহ করেন। এর আগে ৬ মার্চ ১১ জনের লাশ শনাক্ত করেছে সিআইডি।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, দোলার বাবা দলিলুর রহমান দুলালের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে এটি মিলে যাওয়ায় নিশ্চিত হওয়া গেছে যে এটিই তার লাশ। লাশ হস্তান্তরের জন্য ইতোমধ্যে শনাক্তদের পরিচয় চকবাজার থানা পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ৬৪ নম্বর ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে ৬৭ জনের লাশ উদ্ধারের কথা জানায় ঢাকা জেলা প্রশাসন। পরে আহত ও দগ্ধ অবস্থায় ঢামেকে চিকিৎসাধীন চারজন মারা যান।
লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর
ডিএনএ নমুনায় শনাক্ত হওয়া অগ্নিকান্ডে নিহত ৫জনের লাশ গতকাল সন্ধ্যায় স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গ থেকে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এর মধ্যে মো. মোস্তফার (৩৯) লাশ শনাক্ত করে সিআইডি। তিনি একজন রিকশাচালক ছিলেন। ঘটনার সময় তিনি চুরিহাট্টা দিয়ে রিকশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তার লাশ স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া হাজী ইসমাইল (৫৫) একজন প্লাস্টিক ব্যবসায়ী ছিলেন। তার লাশ ছেলে সোহরাব হোসেন বুঝে নেন। অপর ব্যবসায়ী ফয়সাল সাগর (৫৩)। তার লাশ চাচাতো ভাই আব্দুস সামাদ এবং রেনুমা তাবাসসুম দোলা (২২) ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ল’র ছাত্রী ছিলেন। তার বাবা দলিলুর রহমান লাশ বুঝে নেন। তিনি জানান, ঘটনার সময় দোলা লালবাগের বাসায় যাচ্ছিল। তার লাশ আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।