মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বালাকোটে জইশ-ই-মুহাম্মদের প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে ভারতীয় বিমান হামলার দুই সপ্তাহ পরও সীমান্তে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পূর্ণ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। তাদের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলীয় ফ্রন্টে মোতায়েন করা হয়েছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের পুরো একটা স্কোয়াড্রন। এদিকে, এই দুই দেশের সংঘাতে কোন পক্ষ নেবে না বলে জানিয়েছে চীন। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
খবরে জানানো হয়, মার্কিন স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে সীমান্তে পাকিস্তানের পূর্ণ সক্রিয়তা রয়েছে বলে দেখা যায়। ভারতীয় বিমান বাহিনী বালাকোটের বিমান হামলায় জইশ-ই-মুহাম্মদের ঘাঁটিতে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার কথা মার্কিন স্যাটেলাইট ছবির মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের শীর্ষ প্রতিরক্ষা ও সরকারি কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভারতীয় কর্মকর্তাদে মতে, ভারতের সঙ্গে সীমান্তে আকাশসীমায় বিমান চলাচলে পাকিস্তানের নিষেধাজ্ঞা এখনও কার্যকর রয়েছে। জম্মু ও কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণরেখায় রাওয়ালপিন্ডি সদর দফতর থেকে ১০ কর্পস ও সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্সের একটি ব্রিগেড মোতায়েন করেছে পাকিস্তান।
২০১৬ সালে পাকিস্তানের উরিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা তুলে ধরে এক কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও জর্ডানের কাছ থেকে পাওয়া নিশ্চিত খবরে আমরা জানতে পেরেছি পাকিস্তানের বিমানবাহিনী ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে, হায়দরাবাদ থেকে স্কার্ডু পর্যন্ত এফ-১৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী রাডার ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার পরপরই। তারা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো পাল্টা পদক্ষেপ আশা করছিল। ওই ভারতীয় কর্মকর্তারা মতে, হামলার পর পাকিস্তানের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ ছিল ওই দিনই গোলাবর্ষণ করা। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সুন্দরবানি, নৌশেরা, পুঁচ, বিম্বার গলি ও কৃষ্ণঘাঁটি সেক্টরে ভারি মর্টার ও ১২০ এমএম আর্টিলারি কামান ব্যবহার করেছে।
এদিকে চীন দাবি করেছে, তাদের ও অন্যান্য দেশের চেষ্টাতেই ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত দেশে ফিরে আসে এবং বড় ধরনের সামরিক সংঘাত এড়ানো সম্ভব হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক কলামে বলা হয়, ভারত-পাকিস্তান বিবাদে কোনও পক্ষ নেবে না চীন। তাদের মূল উদ্দেশ্য দারিদ্র জর্জরিত ও পিছিয়ে থাকা কাশ্মিরের উন্নয়ন। এছাড়া ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্থতাকারীর ভ‚মিকা পালন করতেও রাজি তারা।
ভারতের অভিযোগ কাশ্মিরে হামলা চালানো গোষ্ঠী জইশ-ই মোহাম্মদকে সমর্থন করছে চীন। এজন্যই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এর প্রধানকে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে সায় দেয়নি। তবে ভারতের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে চীন। তারা জানায়, বিরোধপূর্ণ কাশ্মির অঞ্চলের পিছিয়ে থাকা চলবে না। তাদের উন্নয়ন ভারত-পাকিস্তানের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। যদি দুই দেশ এগিয়ে আসে, তবে পারষ্পরিক বোঝাপড়া বাড়বে এবং শান্তিপূর্ণ সংলাপের ভিত্তি তৈরি হবে। বিশেষ করে চীনের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হবে তাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।