Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো দ্বীপ নয়

ফেসবুক পোস্টে আলী রীয়াজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোন দ্বীপ নয়, এর অবস্থান বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্রেই বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর আলী রীয়াজ। গতকাল (সোমবার) দুপুরে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর আলী রীয়াজ লেখেন, গত রাতে ভিসি এবং তার পাইক-পেয়াদারা সুবিধার উচ্ছিষ্টের লোভে কিংবা মানসিক দাসত্বের বাধ্যবাধকতায় যা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তা আজ দিবালোকে উন্মোচন করে দিয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের পেটোয়া বাহিনীর সামনে তারা দাঁড়িয়েছে। গত রাত ও আজকের (গতকাল) সকাল-দুপুর পেছনে ফেলে শিক্ষার্থীদের জন্যে এখন সিদ্ধান্তের বিষয় হচ্ছে আগামী দিনগুলোতে তারা সম্মিলিতভাবে কিভাবে অগ্রসর হবে। ডাকসু নির্বাচন কেবল ভোট দেয়া-নেয়ার বিষয় নয়, এর কাজ হচ্ছে আগামীর পথরেখা নির্ধারণ এবং নেতৃত্ব তৈরী করা - এই নির্বাচনের প্রক্রিয়া একটি যৌথ নেতৃত্বের, সম্মিলিত নেতৃত্বের জায়গা তৈরী করেছে। সেই নেতৃত্বকে বুঝতে হবে তার দায়িত্ব কি, নিশ্চয় তারা তাঁদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে বুঝতে পারেন শিক্ষার্থীর ভোটের অধিকার এবং নাগরিকের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা অবিভাজ্য। শিক্ষার অধিকার ও গণতন্ত্রের লড়াইয়ের মধ্যে চীনের প্রাচীর নেই।
অপর এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন কুয়েত মৈত্রী হলে যা ঘটেছে তা ব্যতিক্রম বলে মনে করার কারণ নেই, কেবল একটি হলের কর্তৃপক্ষ এই ধরণের কাজ করার সাহস দেখাতে পারেন এমন পরিস্থিতি দেশে নেই। অন্যান্য হলে এই ধরণের অন্যায় ও জালিয়াতির চেষ্টা হয়েছে কিনা, অন্যভাবে কোনো অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়েছে কিনা তা চিহ্নিত করা, তা প্রচার করা হচ্ছে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের এই মুহূর্তের কাজ। কুয়েত মৈত্রী হলের প্রভোস্টকে বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব অস্বীকারের যে পথ বেছে নিয়েছেন, ভিসি যে ধোঁয়া তুলসী পাতা সাজতে চাইছেন তা সংঘটিত অপরাধের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। ডাকসু নির্বাচনের ইতিহাসকেই কেবল কলংকিতই করা হয়েছে তা নয়, দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার যে প্রক্রিয়া তাতে ভিসি ও তার পাইক-পেয়াদা-সিপাহী-বরকন্দাজরা প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত হলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সব কথিত শিক্ষক, তাদের বিবেক বিসর্জন দিয়ে দলের নিচু পর্যায়ের লাঠিয়ালের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন, তাদের কাছে আবেদন করে লাভ নেই। আমি আশা করি বিবেকবান প্রকৃত শিক্ষকরা এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসবেন। আর শিক্ষার্থীদের উচিত হচ্ছে প্রতিটি হলেই তাদের উপস্থিতি জোরদার করা। যারা প্রার্থী ও নেতৃত্বের জায়গায় আছেন তাদের কর্তব্য হচ্ছে অধিকার লঙ্ঘনের পরে তারা সম্মিলিতভাবে পদক্ষেপ নেবার জন্যে ঐক্যবদ্ধ হবেন। ডাকসু নির্বাচন কেবল ভোট চাওয়া ও দেওয়ার বিষয় নয়।



 

Show all comments
  • Gias Uddin Gias ১২ মার্চ, ২০১৯, ২:১৩ এএম says : 0
    বদরউদ্দিন ওমরের সেই বিক্ষাত উক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডাকাতদের গ্রাম
    Total Reply(0) Reply
  • Rubel Hossain ১২ মার্চ, ২০১৯, ২:১৩ এএম says : 0
    এটা মিয়ানমারের মানচিত্রের অংশ কারন বাংলাদেশের মানুষ মিয়ানমার গিয়ে ভোট দিতে পারে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Rotan Roy ১২ মার্চ, ২০১৯, ২:১৩ এএম says : 0
    ভাবতেই লজ্জা লাগে
    Total Reply(0) Reply
  • Faruq Faruq ১২ মার্চ, ২০১৯, ২:১৩ এএম says : 0
    ভোট চোর দের গালে গালে জুতা মারো তালে তালে।
    Total Reply(0) Reply
  • Janab Ali ১২ মার্চ, ২০১৯, ২:২০ এএম says : 0
    আমাদের ছাত্র খুব ধৈর্যশীল এবং শান্তিপূর্ণ, এবং তারা সব ধরনের অনিয়ম সহ্য করবে। প্রথমবারের মতো ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনে জয়লাভ করবে। একটি বিশ্ব রেকর্ড তৈরীর জন্য অভিনন্দন।
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১২ মার্চ, ২০১৯, ২:২০ এএম says : 0
    কোনো প্রকার নির্বাচন দেওয়ার দরকার-ই কি, বাংলাদেশে সকল প্রকার নির্বাচনের ময়নাতদন্ত সহ কবর রচনা হয়ে গেছে
    Total Reply(0) Reply
  • Mr.RupoM. ১২ মার্চ, ২০১৯, ২:২০ এএম says : 0
    এটা সবাই জানে যে পরাজিত হলে সরকার বিরোধীদের গনতন্ত্রের কথা মনে থাকেনা তারা তখন নানাহ মিথ্যাচারে ও প্রপাগান্ডায় লিপ্ত হয় তাই ছাত্রলীগেকে ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার বিরোধী দলগুলোর ছাত্রদের সহিত সহাবস্থান বজায় রেখে দায়িত্বশীল ভূমিকায় থাকতে হবে। এক্ষেত্রে গনতন্ত্রের বিরোধীরা যতই নাটক মঞ্চায়ন করুকনা কেন।
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১২ মার্চ, ২০১৯, ২:২১ এএম says : 0
    "তোরা যা বোঝ আমরা তা বুঝি"- তোমরা তা বোঝো না!!!!!!! ছেলেদের হলে সুষ্ঠু ভোট কিন্তু মেয়েদের ২টা হলে জলঘোলা করা হলো কেন! তারমানে ওই দুই হলে ছাত্রলীগের বিরোধী গ্রুপ শক্তিশালী এবং ভোটের শুরুতেই নির্বাচনকে বিতর্কিত দেখিয়ে দল নিরপেক্ষ সাধারণ ছাত্রদের ভোট নিজেদের পক্ষে নিতে বিষয়টা ওই শক্তিশালী গ্রুপের পূর্ব নির্ধারিত সাজানো ঘটনা। ছেলেদের হলে ছাত্রলীগ বিরোধীরা শক্তিশালী নয় বলেই জলঘোলা করতে তারা ওই সকল হলের ধারে কাছে যায় নাই।
    Total Reply(0) Reply
  • morshed ১২ মার্চ, ২০১৯, ২:২১ এএম says : 0
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে হলে হলে ভোটারের ডামি লাইন তৈরী করে রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভোট দেয়া ঠেকাতে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থী
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ