পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
যাত্রা শুরু করেছে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর। দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বিমানবন্দরটি কিছুদিন আগে উদ্বোধন করেন। তুর্কি প্রজাতন্ত্রের ৯৫তম বার্ষিকীতে স্থানীয় সময় বিকেল চারটা ৩০ মিনিটে এর উদ্বোধন করা হয়। এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তুর্কি সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট, কাতারের আমির ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৮টি দেশের ৫০ জন উচ্চ পর্যায়ের অতিথি উপস্থিত ছিলেন। লিম্যাক, কোলিন, সেনগিজ, মাপা ও ক্যালন -বৃহৎ পাঁচটি কোম্পানির মিলিত কনসোর্টিয়াম এই বিমানবন্দরটি নির্মাণ করে। কামাল আতাতুর্ক বিমানবন্দরের পরিবর্তে এখন থেকে এটিই ইস্তাম্বুলের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হবে। তুরস্কের নিজস্ব অর্থায়নে দুই হাজার ৬০০ কোটি ইউরো ব্যয়ে বিমানবন্দরটি নির্মিত হয়েছে। সাত কোটি ৬০ লাখ বর্গমিটার আয়তনের এ বিমানবন্দর দিয়ে বর্তমানে বছরে ৯ কোটি যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। প্রথম পর্যায়ের এই অংশের কাজ সম্পন্ন করতে ব্যয় হয়েছে ৬০০ কোটি ইউরো। ১০ সহস্রাধিক লোক এ প্রকল্পে কাজ করেছে। এতে তুরস্ক ও বিদেশের মোট ২৫০ জন স্থপতি এবং পাঁচ শতাধিক প্রকৌশলী এই নির্মাণকাজে যুক্ত ছিলেন। তুরস্কের পরিবহন ও অবকাঠামো বিষয়ক মন্ত্রী সেহিত তুরহান জানান, আপাতত দুটি রানওয়ে ও একটি টার্মিনাল চালু করা হবে, যা দিয়ে বছরে নয় কোটি যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। এর সাথে একটি প্রধান এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার, একটি কার্গো হাউজও চালু হবে। চালু হওয়া দুই রানওয়ের একটি চার দশমিক এক কিলোমিটার এবং অপরটি তিন দশমিক ৭৫ কিলোমিটার লম্বা। এ অংশে আপাতত ৩৪৭টি বিমান অবস্থান করতে পারবে। ৫০০ টি বিমান তখন এক সঙ্গে এ বিমানবন্দরে অবস্থান করতে পারবে এবং বছরে ২০ কোটি যাত্রী এ বিমানবন্দর ব্যবহার করবে। একই সাথে তখন এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় করমুক্ত শপিং কমপ্লেক্সেও পরিণত হবে, যার আয়তন হবে ৫৩ হাজার বর্গমিটার। অপর এক খবরে বলা হয়, তুরস্কে চালু হলো দেশটির সবচেয়ে বড় মসজিদ। প্রাচীন নগরী ইস্তাম্বুলে নির্মিত এই মসজিদটির নাম ক্যামলিকা মসজিদ। ছয় বছর আগে নির্মাণ কাজ শুরু হওয়া মসজিদটির কাজ শেষ হয়েছে স¤প্রতি। নান্দনিক সৌন্দর্যের এই মসজিদটিতে এক সাথে ৬৩ হাজার মুসুল্লি। ইস্তাম্বুল নগরীর মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত বসফরাস প্রণালীর দক্ষিণ উপকূলে পাহাড়ের ওপর নির্মিত মসজদিটি বৃহস্পতিবার রজব মাসের প্রথম দিন ফজরের নামাজের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিতি ছিলেন তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম। ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদেগোনের নির্দেশ মসজিদটি আত্যাধুনিক করে নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নামাজের জায়াগা ছাড়াও এতে রয়েছে জাদুঘর, আর্ট গ্যালারি ও বিশাল একটি লাইব্রেরি। পাহাড়ের ওপর এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে মসজিদটি যাতে ইস্তাম্বুল নগরীর সকল জায়গা থেকে এটিকে দেখা যায়। ১০৭. ১ মিটার উঁচু ছয়টি মিনার রয়েছ মসজিদটিতে। ১০৭১ সালে বাইজেন্টাইন বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয়ের কথা স্মরণ করে এটি করা হয়েছে। আর ইস্তাম্বুলে বসবাসরত ৭২টি জাতির মানুষের কথাটি মাথায় রেখে সর্বোচ্চ গম্ভুজটির উচ্চতা রাখা হয়েছে ৭২ মিটার। ডেইলি সাবাহ, টিআরটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।