Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্সে ফুটবলার আসলামের স্বর্ণ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০১৯, ৯:০৪ পিএম

তৃতীয় জাতীয় মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার প্রথমদিন বাজিমাত করেছেন জাতীয় দলের সাবেক তারকা ফুটবলার ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সদস্য শেখ মো: আসলাম। বাংলাদেশ কাস্টমসের হয়ে খেলতে নেমে তিনি প্রতিযোগিতার শটপুট ইভেন্টে স্বর্ণ জয় করেছেন।

বাংলাদেশ মাস্টার্স অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রজব আলী খান ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে জাতীয় মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার তৃতীয় আসর। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশিদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মাস্টার্স অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট নূর উদ্দীন চৌধুরী নয়ন, সাধারণ সম্পাদক মো: ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো: আমজাদ আলী খান।

দুই বাংলার মিলনমেলা খ্যাত এ আসরে এক সময়ে ট্র্যাকে ঝড় তোলা সাবেক অ্যাথলেটরা অংশ নিয়ে জানান দিলেন বয়সের ভারে নুহ্য হলেও এখনো তারা ফুরিয়ে যাননি। প্রতিযোগিতায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ৫০ ও বাংলাদেশের প্রায় ৩৫০ জন সাবেক তারকা অ্যাথলেট অংশ নিচ্ছেন।

সাবেক তারকা ফুটবলার শেখ মো: আসলাম এখন কাস্টমস কর্মকর্তা। শুক্রবার নিজ সংস্থার হয়ে তিনি মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্সে শটপুট ও চারগুনিতক একশ’ মিটার রিলেতে অংশ নেন। ৬০ উর্ধ্ব গ্রুপের শটপুটে স্বর্ণপদক জয় করে রিলেতে জিতেন রৌপ্য। এই বয়সেও সাফল্য পেয়ে উচ্ছ্বসিত আসলাম। তিনি বলেন,‘এক সময় নিয়মিত ফুটবল খেলেছি। এবার খেললাম অ্যাথলেটিক্স। শটপুটে স্বর্ণপদক জিতে ভালোই লাগছে। এটি একটি মিলনমেলা। তাই খুব আগ্রহ নিয়েই অংশ নিয়েছি। ভালো লাগছে মিলনমেলায় আসতে পেরে। সাবেক অনেক তারকা অ্যাথলেটদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। অতীত স্মৃতি রোমন্থন করছি।’

প্রতিযোগিতায় মধ্যবয়সী পুরুষ ও নারীদের ইভেন্ট পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু পঞ্চাশোর্ধ অ্যাথলেটদের ক্ষেত্রে দৌঁড়ানোর আগ্রহটা কমে গিয়েছিল। বিশেষ করে ৬০ উর্ধ্ব, ৬৫ উর্ধ্ব এবং ৭০ উর্ধ্ব অ্যাথলেটদের কমই দেখা গেছে। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ৬০ উর্ধ্ব নারীদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অ্যাথলেটদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই পশ্চিমবঙ্গের দু’একজন নারী ক্রীড়াবিদ অংশ নিয়েছেন। বয়সের ভারে অনেকে আবার হেটেও পার করেছেন নির্ধারিত সীমানা। ১০০ মিটারে ৬৫ উর্ধ্ব বিভাগে অংশ নেয়া তিনজন প্রতিযোগিই ছিলেন ভারতের। প্রথম হওয়া ডলি সরকার বলেন, ‘বয়স আর কুলোচ্ছে না। তারপরও খেলতে যখন এসেছি, শেষতো করতেই হবে। অনেকদিন পর দৌঁড়ালাম। ভালোই লাগলো।’ পুরুষদের ১০০ মিটার ৭০ উর্ধ্ব বিভাগে প্রথম হওয়ার ভারতের নন্দ দুলাল দাস বলেন, ‘বাব্বাহ, কতটা কষ্ট হয়েছে বলে বুঝাতে পারবো না। এই বয়সে কি দৌড়ানো যায়? সবাই মিলে ধরেছে, তাই দৌঁড়ালাম। খুব হাপিয়ে গিয়েছিলাম।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফুটবলার আসলাম
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ