Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সমুদ্র সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটাতে হবে

কক্সবাজারে কর্মশালায় মৎস্য বিজ্ঞানীরা

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার থেকে : | প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০১৯, ১২:৩৮ এএম

সমুদ্র সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বহুমুখী গবেষণা দরকার। আর উন্নত বিশ্বের কাতারে যেতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটাতে হবে। কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞানীদের এক কর্মশালায় মৎস্য বিজ্ঞানীরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
কর্মশালায় বিজ্ঞানীরা বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা দেশের মূল ভ‚-খন্ডের প্রায় সমান। অথচ দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের মাত্র ১৫ দশমিক ৪২ ভাগ অবদান সামুদ্রিক মাছের। বঙ্গোপসাগরের এ বিশাল জলরাশি থেকে এ উৎপাদন খুবই অপ্রতুল। সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনা কৌশল জানা না থাকায় আমরা কাঙ্খিত উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি বলে মনে করছেন সামুদ্রিক মৎস্য বিজ্ঞানীরা। তবে সেই ব্যবস্থাপনা কৌশল রপ্ত করার জন্য গত ৩ বছর ধরে বিজ্ঞানীরা নিবিড় গবেষণা চালাচ্ছেন।
ইতোমধ্যে বিজ্ঞানীদের অনুসন্ধানে বঙ্গোপসাগরে ৪৩০ প্রজাতির মাছ সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৩শ’ মাছের ক্যাটালগিং করা হয়েছে। বাকীগুলোর ক্যাটালগিং এর পাশাপাশি আরো নতুন প্রজাতির মাছের সন্ধানে বঙ্গোপসাগরে বিজ্ঞানীদের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। বিএফআরআই উদ্ভাবিত চারটি মেরি কালচার প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ের বিজ্ঞানীদের কাছে হস্তান্তর বিষয়ে বুধবার কক্সবাজারে আয়োজিত এক কর্মশালায় মৎস্য বিজ্ঞানীরা এ তথ্য তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বিএফআরআই) কক্সবাজারস্থ সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পরিচালক (প্রযুক্তি হস্তান্তর ও মনিটরিং ইউনিট) ড. ফৌজিয়া ইয়াসমিন।

কর্মশালায় বিএফআরআই উদ্ভাবিত এসব প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করেন বিএফআরআই, কক্সবাজারের উপ-পরিচালক ড. আবদুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. যাকীয়াহ রহমান মনি, কক্সবাজারস্থ সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম ও জাকিয়া হাসান প্রমুখ।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম বলেন, হ্যাচারিতে কাঁকড়ার পোনা উৎপাদনে সফল হলেও আমাদের অর্জিত প্রযুক্তি এখনও অনেক দূর্বল। কাঁকড়া পোনা শতকরা মাত্র এক থেকে দেড় ভাগ বাঁচে। আমাদের লক্ষ্য এ হার কমপক্ষে দশভাগে উন্নীত করা। তবে সী-উইড বা সামুদ্রিক শৈবাল চাষে আমাদেরকে উন্নত বিশ্বের কাতারে ওঠতে বেশিদিন সময় লাগবে না বলে আশা করেন তিনি।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পরিচালক ড. ফৌজিয়া ইয়াসমিন বলেন, বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে উন্নীত করার জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, তা অর্জনে সমুদ্র সম্পদের উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছে।

কক্সবাজারস্থ সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জুলফিকার আলী বলেন, সর্বশেষ ১৯৬৯ সালে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বঙ্গোপসাগরে জরীপ চালিয়ে ৪৭৫ প্রজাতির মাছ সনাক্ত করেছিল। তবে এরপর জরীপ না হওয়ায় বঙ্গোপসাগরে মৎস্য সম্পদের হালনাগাদ তথ্য পাওয়া ছিল কঠিন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ