পশ্চিমা লঘুচাপের সাথে পূবালী বায়ুর মিলন এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে বিরাজমান লঘুচাপের কারণে গতকাল বুধবার দেশের কয়েক জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড টেকনাফে ৭৯ মিলিমিটার। এ সময় কক্সবাজারে ৭৫, কুতুবদিয়ায় ২৪, নেত্রকোনায় ৬, সাতক্ষীরায় ৪, ফেনীতে ১ মিলিমিটার এবং সিলেট, হাতিয়া, চুয়াডাঙ্গায় সামান্য পরিমানে বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হ্ওায়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে ৩০.২ এবং সর্বনিম্ন তেঁতুলিয়ায় ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৮ এবং সর্বনিম্ন ১৯.৮ ডিগ্রি সে.।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দিনের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এর পরের ৫ দিনে আসছে সপ্তাহে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ ভারতের বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। অপর একটি লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতি সম্পর্কে আবহাওয়াবিদ মোঃ বজলুর রশিদ জানান, বজ্রমেঘের ঘনঘটা বৃদ্ধির কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।