পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গ্রাহককে প্রত্যাশিত সেবা দিতে না পারা ও ক্রমান্বয়ে লোকসানে থাকায় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বন্ধ করে দিয়েছে বেসরকারি এক্সিম ব্যাংক ও আইএফআইসি ব্যাংক। এ দুটি প্রতিষ্ঠান তাদের ‘এক্সিম ক্যাশ’ ও ‘আইএফআইসি মোবাইল ব্যাংকিং’ সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে এখন দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান দুটি কমে ১৬টিতে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে কমেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক সংখ্যা।
এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া বলেন, আপাতত আমাদের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গত কয়েক মাস ধরেই এ সেবা দেয়া হচ্ছে না। এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মনীতির কারণেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, যেসব প্রতিষ্ঠান এমএফএস এ লাইসেন্স নিয়েছে তাদেরকে সেবার মান বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এমএফএস এর জন্য সহযোগী প্রতিষ্ঠান করার কথাও বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে দুটি ব্যাংক গত জানুয়ারি থেকে তাদের এমএফএস’র কার্যক্রম বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে। তবে তাদের গ্রাহক সংখ্যা খুব সামান্য ছিল ফলে কোনো প্রভাব পড়েনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, এক্সিম ব্যাংক ও আইএফআইসি ব্যাংক তাদের এমএফএস সেবা বন্ধ করায় জানুয়ারির শেষে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৬টিতে দাঁড়িয়েছে। আর তাই দেশে মোট নিবন্ধিত এমএফএস হিসাবের সংখ্যা কমেছে। জানুয়ারি শেষে এমএফএস হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৭২ লাখ ৮৮ হাজার। যা আগের মাসের তুলনায় দশমিক ৩ শতাংশ কম। ডিসেম্বরে হিসাবে এই সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার।
এদিকে হিসাবধারীর সঙ্গে সঙ্গে কমেছে সক্রিয় হিসাবের সংখ্যাও। জানুয়ারি শেষে এমএফএস এ সক্রিয় হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৯৪ হাজার। যা আগের মাসের তুলনায় ১০ দশমিক ৩ শতাংশ কম। ডিসেম্বরে হিসাবের সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৭৩ লাখ ১৩ হাজার।
আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৯৯৬ জন। ডিসেম্বরে যা ছিল এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৪৭৩ জন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ জানুয়ারির মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৪ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১১৬ কোটি টাকা। মাসজুড়ে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবগুলোতে টাকা জমা পড়েছে ১২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। উত্তোলন করা হয়েছে ১৩ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা। ব্যক্তি হিসাব থেকে ব্যক্তি হিসাবে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে পাঁচ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বিতরণ হয়েছে ৭৪৭ কোটি টাকা। বিভিন্ন সেবার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ২৭৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা। কেনাকাটার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ৪০৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সরকারি পরিশোধ ২৮৮ কোটি টাকা। এছাড়া অন্যান্য হিসাবে লেনদেন হয়েছে ৫২৭ কোটি টাকা।
২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের যাত্রা শুরু হয়। এর পর পরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার বাজারের সিংহভাগই বিকাশের দখলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।