Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২৫ বছরেই অন্ধ হতে চলেছেন রং মিস্ত্রী শাহাদৎ

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৯, ২:০৪ পিএম

২৫ বছর বয়সী যুবক শাহাদতের ছিল একটি সাজানো গোছানো সংসার। স্ত্রী, সন্তান, মা ও পরিবার পরিজন নিয়ে বেশ সুখেই কাটছিল তার দিন। ৮ মাস আগে গরম চুন চোখে পড়ে তার বাম চোখটি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। কিছুদিন পর সার্টের বোতাম লেগে ডান চোখের রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই থেকে অন্যের সাহায্যে চলাফেরা। এক সময়য়ের ভাল রং মিস্ত্রী শাহাদৎ এখন অন্ধ। দু’চোখের কোনটাই তিনি দেখতে পারেন না। অর্থাভাবে অন্ধ হতে চলেছেন তিনি। অন্ধ শাহাদৎ হোসেন ঝিনাইদহ শহরের হামদহ ৩ নং পানির ট্যাংকীপাড়ার আব্দুল মালেকের ছেলে। শাহাদৎ জানান, ৮ মাস ধরে তিনি কাজ করেন না। চিকিৎসা তো দুরের কথা পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। এ অবস্থায় স্ত্রী শাপলা খাতুন পরের বাড়ি কাজ করেন। আজ দুপুরে ৯ বছর বয়সী ভাতিজা আবিরের কাঁধে হাত রেখে শাহাদৎ আসেন ঝিনাইদহ শহরে। চিকিৎসা নিয়ে তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, টাকার অভাবে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান
ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারেন নি। তাই খুলনা আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারের শ্মরনাপন্ন হন। চিকিৎসক পরীক্ষা রিরীক্ষা করে ভারতের চেন্নাই যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু টাকার অভাবে যেতে পারছেন না। রেটিনা সংযোজন না করতে পারলে মাত্র ২৫ বছর বয়সেই সম্পুর্ন অন্ধ হয়ে যাবেন। কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি শাহাদৎকে আর্থিক সহায়তা করতে চাইলে ০১৯৬৬-২২৮৫১৩ (বিকাশ) নাম্বারে কথা বলতে পারেন।
এক ভ্যান চালকের দুর্দিন
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ

নিজের চিকিৎসার জন্য ভিক্ষায় নেমেছেন ভ্যান চালক আব্দুল লতিফ ৯৬৫)। তাতেও আর কুলাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে তিনি সমাজের দানশীল মানুষের দারস্থ হয়েছে। আব্দুল লতিফ মুত্রথলি ও লিভার জনিত রোগে আক্রান্ত। ডাক্তারের ফি ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করইে তার ভিক্ষার টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। আব্দুল লতিফ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না গ্রামের মঙ্গল মন্ডলের ছেলে। বসবাস করেন রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত জমিতে। দুই সন্তানের জনক আব্দুল লতিফ এক সময় পাখি (ব্যাটারি চালিত) ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। স্ত্রী রিজিয়া খাতুন জানান, ৯ মাস আগে তার গাঁ ফুলতে থাকে।
ডাক্তার দেখালে শরীরে মুত্রথলি ও লিভার জনিত রোগ ধরা পড়ে। এই রোগ নিরাময়যোগ্য হলেও টাকার আভাবে স্বামীর জন্য ওষুধ কিনতে পারছেন না তিনি। তিনি বলেন হলিধানী বাজারে মানুষের কাছে চেয়েচিন্তে যা পাওয়া যায়, তাই দিয়ে ডাক্তারের ফি ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু ইদানিং আর কেও টাকা দিচ্ছে না। বড় অসহায় তারা। ডাক্তার ভারি কোন কাজ করতে নিষেধ করলেও জীবিকার সন্ধানে রোগাগ্রস্থ অবস্থায় ভ্যান চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। গত ৯ মাসে ৫০/৬০ হাজার টাকা ব্যায় করা হয়েছে। বর্তমানে ভ্যান চালক আব্দুল লতিফ দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের প্রধান ডাঃ মেসবাহ উদ্দীন নোমানের কাছে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি তার চিকিৎসার জন্য সহায়তা করতে চাইলে তার ০১৯২৫৫৩৯২৩১ নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ