বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়া আগামী ১৮ মার্চ ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে বগুড়ার ১২ উপজেলার নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে তেমন উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্যনীয় না হলেও সরকারি দলের সমর্থিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে। প্রধান বিরোধীদল বিএনপি এবং জামায়াত অফিসিয়ালি এই নির্বাচন বর্জন করলেও বিএনপির বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তবে বগুড়ায় জামায়াতের শক্ত সাংগঠনিক ভিত্তি থাকলেও তাদের কোন প্রার্থী এবার বগুড়ার কোন উপজেলাতেই অংশ নিচ্ছেনা।
এদিকে এই নির্বাচনে বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু ও আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগ প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম খান রাজু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
বাকী ১০ উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রয়েছে। উপজেলা নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে প্রতিদ্বন্দ্বীতা এবং নির্বাচন কার্যক্রমে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বগুড়া জেলা বিএনপির ৩০ জন নেতা-কর্মীকে বহিস্কার করা হয়েছে।
নির্বাচনে উপজেলাওয়ারী প্রার্থী হলো সোনাতলায় চেয়ারম্যান ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ২ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৩ জন। শিবগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন। কাহালুতে চেয়ারম্যান ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৬ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৪ জন। গাবতলীতে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৩ জন। শাজাহানপুরে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন। শেরপুরে চেয়ারম্যান পদে এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছে , এখানে শুধু মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী রয়েছে। বগুড়া সদরে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন, সারিয়াকান্দিতে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৪ জন, দুপচাঁচিয়ায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ধুনটে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, নন্দীগ্রামে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং আদমদীঘিতে চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
বগুড়া জেলা ও পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশন সুত্র নির্বাচনী পরিবেশ পরিস্থিতি ভালো বলে দাবি করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বলছেন ভিন্ন কথা। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান হিরু ৫ মার্চ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষনা দিয়েছেন । তিনি মুলত নিজ দলের আভ্যন্তরীন চাপের কারনেই তার প্রার্থতা প্রত্রাহার করে নিয়েছেন বলে জানা গেছে । বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আকতার আলম সেলিম এক সংবাদ সম্মেলনে তার এলাকার সরকার দলীয় প্রার্থী আঃ হাই খোকনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর পাশাপাশি তা’ নিরসনে প্রশাসনের ব্যর্থতা ও উদাসীনতার অভিযোগ এনেছেন ।
অন্যদিকে বগুড়া সদর উপজেলার সম্ভাবনাময় স্বতন্ত্র প্রার্থী ( বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ) মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল তার বিরুদ্ধে সরকার দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন সহ বিএনপি নেতাদের একাংশের ব্যাপারে তার নির্বাচনী প্রচারণায় ডাইরেক্ট ইনডাইরেক্ট বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। বগুড়ার একমাত্র মহিলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শিবগঞ্জ উপজেলার বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানও সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন , তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় ত্রিমুখি চাপের শিকার একটি সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষ থেকে , একটি বিএনপির পক্ষ থেকে ও অন্যটি প্রভাবশালী এমপির শ্যালক প্রার্থীর পক্ষ থেকে। তবে প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকলে তার বিজয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবেনা বলেও দাবি করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।