পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণহারে চাকরিচ্যুত পোশাক শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিল। পাশাপাশি শ্রম অসন্তোষকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে বিভিন্ন কারখানার করা মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তির দাবিও জানান তারা।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। সমাবেশ শেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয় আয়োজক সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, নিম্নতম মজুরি নিয়ে পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা গত ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে এবং পর্যায়ক্রমে তা মারাত্মক আকার ধারণ করে। এরপর গত ১৩ জানুয়ারির সংশোধিত মজুরির ঘোষণায় একমত পোষণ করে এবং সবার উপস্থিতিতে শ্রমিক নেতারা শ্রমিকদের ১৪ জানুয়ারি থেকে কাজে যোগদানের অনুরোধ জানান, শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগদান করেন।
বক্তারা বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বিজিএমইএ সভাপতির আশ্বাসের পর আমরা দেখছি মালিকরা শ্রমিকদের ওপর মামলা, হামলা, গ্রেফতার এবং চাকরি থেকে গণহারে বহিষ্কারের মহোৎসব শুরু করেন। ফলে এ পর্যন্ত সাভার, আশুলিয়া এবং গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় ৩৪টি মামলায় প্রায় ৫ হাজার শ্রমিককে আসামি করা হয়, ইতোমধ্যে শতাধিক শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ১০৭টি কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রায় ১২ হাজার শ্রমিককে বিভিন্ন পন্থায় চাকরিচ্যুত করেছে, যা পোশাক শিল্পের এ-সংক্রান্ত অতীতে ঘটে যাওয়া সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে।
বিজিএমইএ ইতোমধ্যে শ্রমিকদের ডাটাবেজ কার্যক্রম শুরু করেছে এবং বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে প্রায় ৩৫ লাখ শ্রমিককে ডাটাবেজের আওতায় আনা হয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, বিজিএমইএর এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু ডাটাবেজকে যদি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে পুনঃচাকরি নেয়ার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ হিসেবে ব্যবহার করা হয় তাহলে আমরা তা মেনে নিতে পারি না।
আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশকিছু দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছ- শ্রমিকদের বিরুদ্ধে করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গ্রেফতার শ্রমিকদের মুক্তি, চাকরিচ্যুত সব শ্রমিককে কাজে পুনর্বহাল, বিজিএমইএ কর্তৃক সংরক্ষিত মজুরির গেজেট প্রকাশের পর থেকে প্রোডাকশনের নামে টার্গেট দিয়ে চলমান শ্রমিক হয়রানি বন্ধ করতে হবে। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, মহাসচিব সালাউদ্দিন স্বপনসহ গার্মেন্ট শ্রমিক ও নেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।