Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বহুবিবাহ নিয়ে মন্তব্যে সমালোচিত মিসরের গ্রান্ড মুফতি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০১৯, ৪:১০ পিএম

একাধিক বিয়ে নিয়ে মন্তব্য করে মিসরের গ্রান্ড মুফতি শাইখ আহমদ আত তাইয়্যেব আরব বিশ্বে ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন। সম্প্রতি একটি আলোচনায় তিনি বলেছিলেন, ‘একের অধিক বিয়ে করা অনেক ক্ষেত্রেই নারীদের ওপর জুলুম করার নামান্তর। ইসলামে বহুবিবাহের অনুমতি নেই। বরং এটি নির্দিষ্ট ও শর্তসাপেক্ষ বিষয়। যারা বহু বিবাহের পক্ষে কথা বলে, তারা ভুলের ওপর রয়েছে।’ খবর আল জাজিরা।
অবশ্য গ্রান্ড মুফতির এমন বক্তব্য এবারই প্রথম নয়। ২০১০ সালে শাইখুল আযহার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্তির পর থেকে তিনি এ বিষয়ে কয়েকবার কথা বলেছেন। বিশেষত মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ২০১৪ সালে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলকারী প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ সিসি ধর্মীয় বিষয়ে সংস্কার গ্রহণের পদক্ষেপ নেওয়ার পর তিনি কয়েকবার এমন মন্তব্য করেন।
মিসরের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাপ্তাহিক প্রোগ্রামে শাইখুল আযহার বলেন, পবিত্র কুরআনের হুকুম হলো ‘তুমি যদি স্ত্রীদের মধ্যে ন্যায়বিচারের আশঙ্কা করো তবে একটি বিয়ে যথেষ্ট।’ তিনি বলেন, অধিক বিয়ে মানে স্ত্রী ও সন্তানদের ওপর জুলুম করা। বহু বিয়ের প্রবক্তারা কুরআনের আয়াতটি গভীরভাবে অনুধাবন করে না। এটি সম্পূর্ণ আয়াতের একটি অংশবিশেষ, সম্পূর্ণ আয়াত নয়। এই আয়াতের প্রথমে কিছু অংশ রয়েছে এবং পরেও কিছু অংশ রয়েছে।
এই আয়াতের ব্যাখ্যা করে শাইখুল আযহার বলেন, যে কেউ কি একাধিক বিয়ে করতে পারে? নাকি শর্তসাপেক্ষে একাধিক বিয়ে করার ক্ষমতা রাখে? একটি স্ত্রী থাকতে অন্য বিয়ের ক্ষেত্রে ‘ইনসাফ’ শর্ত। যদি ইনসাফ না করতে পারে তবে একাধিক বিয়ে হারাম এবং জুলুম।
টেলিভিশনে বক্তব্যটি প্রচারিত হওয়ার পর আলোচনা শুরু হলে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের টুইটারে এর ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, যেখানে গ্রান্ড ইমাম বলেন, নারীরা সমাজের অর্ধেক প্রতিনিধিত্ব করে, যদি আমরা তাদের যত্ন না নিই তবে আমরা এক পায়ে হাঁটছি।
তবে গ্র্যান্ড ইমামের মন্তব্যের পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার আল-আজহারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, শাইখ আহমদ তাইয়্যেব বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করেননি। তিনি বিবাহ নিয়ে ভুল অনুশীলনের বিরুদ্ধে আহ্বান জানিয়েছেন।
অবশ্য মিসরের জাতীয় পরিষদের নারীকর্মীরা গ্র্যান্ড ইমামের এমন দৃষ্টিভঙ্গিকে স্বাগত জানিয়েছেন। পরিষদের সভানেত্রী মায়া মুরসি বলেন, ইসলাম ধর্মই নারীদের প্রথম সম্মান দিয়েছে। নারীদেরকে ইসলাম প্রদত্ত সেই সুমহান মর্যাদার কথাই শাইখ বলেছেন

 

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রান্ড মুফতি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ